× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

চেতনানাশক মিশিয়ে পরিবারের সবাইকে অচেতন করে সর্বস্ব লুট

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৪৫ পিএম

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে খাবারের সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে দুটি ব‍্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের অচেতন করে এক পরিবারের সর্বস্ব লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। অপর পরিবারের সকল সদস্য অচেতন অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় এলাকাবাসী ও সোনাহাট স্থলবন্দরের ব‍্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিনগত রাতে উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি কারক বিশিষ্ট  ব‍্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম এবং গতকাল বুধবার বিকেলে সোনাহাট বাজারের ব‍্যবসায়ী মজিবর রহমান মন্টুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তারা উভয়েই সোনাহাট ইউনিয়নের বানুরকুটি গ্রামের বাসিন্দা।

ব‍্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার রাতে শ্বশুর বাড়ির মেহমানসহ রাতের খাবার খেয়ে বাসার সকলে ঘুমিয়ে পড়ি। পরদিন (মঙ্গলবার)  সকাল আটটার দিকে ঘুম ভাঙ্গে। ওঠে দেখি বাসার মেইন গেট ও ঘরের দরজা ভাঙা। মধ‍্যরাতে কে বা কাহারা গেট ও ঘরের দরজা মেশিন দিয়ে কেটে ঘরে প্রবেশ করে  নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ও আমার স্ত্রীর স্বর্ণের যাবতীয় গহনাসহ মূল‍্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। চেতনানাশকের ক্রিয়ায় মেহমানসহ  আমরা বাড়ির সকলে ঘুমে এতোই অচেতন ছিলাম যে দরজা ও গ্রিল কাটার কোন শব্দ শুনতে পাইনি। এর প্রতিকার চেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।

অপরদিকে মন্টুর পরিবার জানায়, বুধবার তাদের ব‍্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের হালখাতা ছিলো। হালখাতায় আগত মেহমানদের জন‍্য খিচুড়ি খাওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়। পরে বিকেলে বাড়ির সকলে খিচুড়ি খেয়ে মন্টু নিজে তার স্ত্রী, সন্তান, বোন, ভাগনিসহ পরিবারের ৮ জন সদস‍্য অচেতন অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে মন্টু অবস্থার অবনতি হলে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে আনোয়ারা জাহাঙ্গীর ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়। ধারণা করা হচ্ছে ঘুমের ঔষধ জাতীয় কিছু খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার ) আমি রোগীর সাথে কথা বলেছি। এখন তিনি শঙ্কা মুক্ত আছেন।

ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, এ বিষয়ে শফিকুল ইসলামের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং মন্টুর পরিবারকে থানায় আসতে বলেছি। পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে দেখছে। আমাদের তদন্ত টিম মাঠে কাজ করছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.