সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর আসনের ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশের ন্যায় সিরাজগঞ্জের ৬টি আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ।পাড়া-মহল্লার চা স্টলগুলোতে চায়ের কাপে চলছে নানান আলোচনা।
ইতিমধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীরা তাদের পক্ষে সমর্থন আদায়ে বিভিন্ন রকম প্রতিশ্রুতি প্রদান করছেন। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, সকাল -সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণার মাইকিং সেই সাথে ভোটের জন্য নেতাকর্মীদের বিরামহীন পাড়া মহল্লায় ছোটাছুটি।
এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামকে নির্ধারিত নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হালিমুল হক মিরুকে ঈগল পাখি প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির মনোনীত প্রার্থী কাজী মো. আলামিনকে একতারা প্রতীক, তৃণমূল বিএনপি.র মনোনীত প্রার্থী তরিকুল ইসলামকে সোনালী আঁশ প্রতীক, বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলন বিএনএফ এর মনোনীত প্রার্থী মো. শামিমকে নোঙ্গর প্রতীক, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. মোক্তার হোসেনকে লাঙল প্রতীক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ মনোনীত প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হককে মশাল প্রতীক ও বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী মো. রেজাউর রশীদ খানকে হাতুড়ী প্রতীক বরাদ্দ পায়।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার মধ্যে শাহজাদপুর আসনটি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন, এই আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬০ জান। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩১ হাজার ৯২৪ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৩ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন। ১৬০টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ১৯টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব বিন শাহাব বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশ এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে। কোন ধরণের আচরণবিধি লঙ্ঘনের লিখিত অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা আশা করছি আগামী ৭ই জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে