সিলেটের গোয়াইনঘাটে ৯টি মামলার আসামি কামরুল ইসলাম (৩০) সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যদের ওপর আসামি ও তার স্বজনরা হামলা চালালে দুজন পুলিশ আহত হন।
শনিবার বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. সম্রাট তালুকদার।
২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাধীন ০৪ নং লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের সতি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের সতি গ্রামের ইছরাক আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩০) একই গ্রামের ইছরাক আলীর স্ত্রী জুলেখা বেগম (৫৫), ইছরাক আলীর মেয়ে রুনা আক্তার রুমি (২৩) ও আব্দুস ছালামের ছেলে আব্দুল বাসিত (২২)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার রাতে আসামি কামরুলের বাড়ি পুলিশ ঘেরাও করে। এ সময় এসআই কামাল হোসেন ফোর্সসহ আসামি কামরুল ইসলামের বসতঘরে প্রবেশ করলে কামরুল ধারালো দা হাতে নিয়ে পুলিশকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় দুইজন পুলিশ সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন।
জানা যায়, আটকের একপর্যায়ে বসত ঘরে তল্লাশি চালিয়ে তার বিছানার নীচ থেকে ৩ ফুট লম্বা ধারালো তরবারি, ১টি ধারালো দা, ১টি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। এ সময় কামরুলের মা ধৃত আসামি জুলেখা বেগম, বোন রুনা আক্তার রুমি ও কামরুলের ফুফাতো ভাই আব্দুল বাসিত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কামরুলকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় কমরুলও আহত হয়। পুলিশ তাদের আটক করতে সক্ষম হয়। বর্তমানে কামরুল সিলেট ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
উক্ত বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে জানিয়ে সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনসাধারণের সহযোগিতায় কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরাধ দমনে সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশিত ছকে অপরাধ ও মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।