গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় মাদ্রাসা ছাত্র সাব্বির (১১) হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় নিজের চাচা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচা ইমরান আকন্দ (৩০)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানা চত্বরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃত ইমরান আকন্দ সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের আলেক আকন্দ ওরফে গটুর ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৭ ডিসেম্বর বিকালে সাব্বির বাড়ী থেকে বাহিরে যায়। পরের দিন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাই নদীর পাড়ে নির্জন ঝোপের ভিতর সাব্বিরের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীকে সনাক্ত করা হয়। পরে ৯ জানুয়ারী রাত সোয়া ৮টার দিকে ঘটনার সাথে জড়িত মূল আসামী ইমরান আকন্দকে সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর গ্রামে আসামীর শশুড় বাড়ী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান সাব্বিরকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে। সাব্বির তার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। সাব্বিরকে চাচা ইমরান প্রায় ৩ বছর যাবত অবৈধ ভাবে জোর পূর্বক শারীরিক সম্পর্ক (বলাৎকার) করে আসছিল। বলাৎকারের বিষয়ে সাব্বির অন্যদেরকে বলে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায়। সে কারনে চাচা ইমরান তাকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।
পরে গত ১৭ ডিসেম্বর রাত অনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে সাব্বিরকে তার বসতবাড়ীর উত্তর পশ্চিম পাশে কলার ক্ষেতে ডেকে নিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ইমরান। ঘটনাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য সেদিন রাতেই সাব্বিরেব লাশ বস্তার ভিতরে ঢুকিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাই নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন ঝোপের ভিতর ফেলে আসে।
প্রেস ব্রিফিং এ গাইবান্ধার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সি-সার্কেল উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ উপস্থিত ছিলেন।