কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে মগনামা বাজারপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মগনামার সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদুসহ স্থানীয় অসংখ্য নারী-পুরুষ অংশ নেন। একই দাবিতে রোববার বিকেল চারটার দিকে মগনামার সোনালী বাজারেও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে আবু ছৈয়দ হত্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। অথচ আবু ছৈয়দ হত্যাকান্ডের সময় তিনি দেশের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই ছিলেন। মামলায় তিনি এজাহার নামীয় আসামীও নন। তারপরও ওয়াসিম চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনুস চৌধুরীর ষড়যন্ত্রে তাকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। আমরা তাকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
বক্তারা আরও বলেন, আবু ছৈয়দকে দিনে-দুপুরে হত্যা করা হয়েছে। কারা আবু ছৈয়দকে হত্যা করেছে তা হত্যার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে আবু ছৈয়দের শাশুড়ী সাংবাদিকদের বলেছিলেন। এসবের ভিডিও রেকর্ড স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আবু ছৈয়দ হত্যাকান্ডের সঙ্গে নুন্যতম সম্পর্ক না থাকলেও তাকে সেই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার পুলিশ জানায়, গত ১০ অক্টোবর দিনদুপুরে মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়া পাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু ছৈয়দকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে একই এলাকার সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের ছেলে মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামী করে পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত একাধিক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হত্যা মামলার এজাহারে ওয়াসিমের নাম নেই।
কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, গত বছরের ১০ অক্টোবর দিনে-দুপুরে আবু ছৈয়দ খুন হন। হত্যাকাণ্ডের সময় ওয়াসিম দেশের বাইরে ছিলেন। গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি দুবাই যান। সেখান থেকে ১১ অক্টোবর চীন যান। চীন থেকে ১৮অক্টোবর দেশে ফেরেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ওয়াসিম চেয়ারম্যানের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তিনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না থাকলে বাদ দেওয়া হবে।