শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের গাগলাজানি এলাকা থেকে শুরু করে পূর্ব কলসপাড় এলাকা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার দুটি ইউনিয়নে একটি কুকুর অস্বাভাবিকভাবে এদিক-ওদিক দৌড়াতে থাকে। কুকুরটি যাদেরকে সামনে পায় কামড়ানো শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই অধিক গ্রামের শিশুসহ ৪০ জনকে কামড় দিয়ে আহত করে ওই পাগলা কুকুরটি। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে, ভ্যাকসিন সংকট থাকায় বাইরের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নালিতাবাড়ীর কলসপাড় এলাকার আল-আমীন বলেন, আমার ছোট ভাই সকালে বাড়ি থেকে বাজারে যাচ্ছিল। তখন পেছন থেকে একটি কুকুর এসে তাকে পায়ে কামড় দেয়। পরে আমি ছোট ভাইকে নিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি এবং ফার্মেসি থেকে ইনজেকশন কিনতে হয়েছে আমাকে।
তবে জেলা সদর হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি বলে একাধিক রোগী ও স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জসিম উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিককালে এক দিনে কুকুরের কামড়ের শিকার হয়ে এত মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেনি। দফায় দফায় কুকুরের কামড়ে আহত এতো রোগী আজ এসেছে। আর হাসপাতালে আসা সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রথম ডোজের তিন দিন পর দ্বিতীয় ডোজ, সাত দিন পর তৃতীয় ডোজ ইনজেকশন নিতে হাসপাতালে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।