সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে মাদারীপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সামনে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর আয়োজনে মানববন্ধনে অংশ নেয় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ খলিলুজ্জামান হিমু, সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইকরাম হোসেনসহ শিবচর, কালকিনি, রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অন্যরা।
মানববন্ধনে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের আইনগত শাস্তির দাবী জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরের ৪ নম্বর বাংলাবাজার রাংপানি এলাকায় প্রাইভেটকার পুকুরের পানিতে ডুবে চার তরুণ মারা যান। তাঁরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের লামাপাড় গ্রামের জুবায়ের আহসান, পানিহারাহাটি গ্রামের মেহেদী হাসান, জাঙ্গালহাটি গ্রামের আলী হোসেন ও তোয়াসীহাটি গ্রামের নেহাল পাল। নিহত সবার বয়স ২৪ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাঁরা চারজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে তাঁদের কোনো পদ ছিল না। দুর্ঘটনার পর শুক্রবার রাতে চারজনকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে হাসপাতাল ও স্টাফ কোয়ার্টার ভাঙচুর করেন। এ সময় হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা সরকারি জিপ গাড়িতে আগুন ও অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এই ঘটনায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করেন জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সালাহ্উদ্দিন মিয়া।