বান্দরবান- রোয়াংছড়ি সড়কে সড়ক ও জনপদ বিভাগের ড্রেইন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তড়িগড়ি করে বালু না দিয়ে মাটির উপরে নিম্নমানের ইট দিয়ে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করছে মানু নামে এক ঠিকাদার। শুধু তাই নয় অতিরিক্ত বালু ও সিমেন্ট কম দিয়ে ড্রেইনের ঢালাই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগও আছে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানান, নিয়মানুযায়ী বেইজ তৈরি করে বালু দিয়ে এর উপর ইট বিছানোর কথা থাকলেও সেটি না করে কর্তৃপক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন রকম কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। তবে সেসব কাজে সঠিকভাবে কতৃপক্ষে তদারকি নাই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি অর্থ বছরে ২৪ লক্ষ ৬৭হাজার টাকা ব্যায়ে দেড় কিলোমিটার ড্রেইনের নির্মান কাজে বরাদ্ধ পায় মেসার্স এরাই ইন্টান্যাশনাল নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমান কাজটি বাস্তবায়ন করছেন মানু নামে এক ঠিকাদার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ড্রেইন নির্মানের কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ। কোথাও দেওয়া হচ্ছে ঢালাই আবার কোথাও সমান্তরালে ভাবে মাটি কাটছেন শ্রমিকরা। আবার কোথাও বালু সলিং না দিয়ে ইট বিছানো কাজ শেষ। কয়েকটি স্থানে এবরো থেবরোভাবে মনগড়া মতন ইট বিছানো হয়েছে। তাছাড়া  সলিংয়ের চার ইঞ্চি করে ঢালাই দেওয়া কথা থাকলেও কোথাও সাড়ে দুই আবার কোথাও তিনইঞ্চি করে ঢালাই কাজ করছেন। তবে মিশ্রিত মসলায় সিমেন্ট কম দেওয়াতে ঢালাই দেয়ার স্থানে পা দিলেই নিমিষেই ভেঙ্গে যাচ্ছে।  ঢাইলাই দেওয়া গুলোতে হাত দিয়ে খুড়ে দেখলে শুধু বালু আর মাটি ছাড়া সিমেন্টের কোন চিহ্ন দেখা মেলেনি।

ড্রেইন কাজে নির্মিত শ্রমিক মো. খায়ের বলেন, ‘আমরা ম্যানেজার কথানুযায়ী কাজ করতেসি। বালু সলিং কেন দেননাই এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ম্যানেজার না বললে আমরা কিভাবে দিব। তারা যেভাবে কাজ করতে বলছে আমরা সেভাবে করছি। তাছাড়া বালু নিম্নমানের আর চারইঞ্চি ঢালাই দেওয়া কথা থাকলে কোথাও দুই  তিন ইঞ্চি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।’

মানু ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই আমি ব্যস্ত ছিলাম গতকাল। আর আমাকে ত সুযোগ দিতে হবে কথা বলার। আমার সাথে কথা না বলে উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। আপনাদের কারণে আমরা বড় হতে পারবো নাহ নীচে থাকতে হবে।’

সড়ক ও জনপদের অধিদপ্তরের সিনিয়র অফিসার অংশৈপ্রু মারমা (বাপ্রু) বলেন, প্রকল্পের ওয়ার্কারে মধ্যে সলিংয়ের বালু ধরা নাই। তবে ড্রেইনের কাজ শতভাগ হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের  উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফারহান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কথা বলে জানাচ্ছি।’