বরগুনার তালতলী উপজেলার সুখি আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে তালতলী পুলিশ। গৃহবধূর বাবার দাবি, আমার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে হত্যা করেছে। 

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তালতলী উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাশে ঝোঁপঝাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত সুখি তালতলী উপজেলার চরপাড়া এলাকার মো. হাসান সরদারের স্ত্রী । 

স্বজন ও তালতলী থানা সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ গত ৩১ জানুয়ারি তালতলী ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে সারাদিন কাজ শেষে রাতে নিজ ঘরে যায়। এরপর থেকেই তার আর কোনো সন্ধান ছিল না । 

সকালে পরিবারের অন্য লোকজন আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজের দুইদিন পরে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের শশুরবাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের পাশে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

মৃতদেহের পুলিশের প্রাথমিক সুরাতহালে শরীরে আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বলে জানান তালতলী থানার পুলিশ। সুরাতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। 

গৃহবধূরর বাবা বাবুল ফকির বলেন, আমাদের সন্দেহ আমার মেয়েকে শশুরবাড়ির লোক হত্যা করে মরদেহটি রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছেন। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচার চাই। 

গৃহবধূর স্বামী হাসান বলেন, আমি সাগরে মাছ ধরছিলাম। আমার স্ত্রীর নিখোঁজের খবর শুনে আমি সাগরে মাছ ধরা রেখে চলে এসছি। এসে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি কিন্তু পাইনি। সকালে আমার স্ত্রীর লাশ দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো শত্রু নেই তবে কে বা কারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। 

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ  শহিদুল ইসলামা খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, লাশ যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে এ ঘটনা ঘটেনি বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টি রহস্যজনক। তদন্ত করে সঠিক রহস্য বের করা হবে। 

তিনি আরও বলেন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে হত্যার সঠিক কারণ বলা যাবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।