কাজ শেষে ফেরার পথে বাসের চালকের সহকারীর সঙ্গে পরিচয়, সেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক। এরপর বিয়ে কথা বলে ওই কিশোরী শ্রমিককে ডেকে নেয় কথিত প্রেমিক। পরে সেই প্রেমিক ও বন্ধুদের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ছয় যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছয় যুবক হলেন নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া গ্রামের শফিউদ্দিন ভূইয়ার ছেলে আপেল ভূঁইয়া (৩৭), শিবপুর উপজেলার ধনাইয়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে ডালিম মিয়া (২০), শাষপুর গ্রামের মৃত মালেক মির্জার ছেলে জাকির মির্জা (৩৫), ঘাসিরদিয়া গ্রামের রোকন উদ্দিনের ছেলে ফয়সাল (১৯), শাষপুর গ্রামের মৃত হিরন মিয়ার ছেলে মনির হোসেন (২৭) ও ঘাগটিয়া গ্রামের হান্নানের ছেলে তুহিন (৩২)।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর বরাতে পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ওই কিশোরী (১৩) নরসিংদীর মাধবদী থানার একটি এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
বাসে আসা-যাওয়ার পথে চালকের সহকারী ডালিম মিয়ার সঙ্গে তার পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। কথিত প্রেমিক ডালিম গত ৩১ জানুয়ারি রাতে বিয়ে করার কথা বলে তাকে ডেকে আনেন শিবপুরের একটি ভাড়া বাসায়। পরে সেখানে কথিত প্রেমিক ও তাঁর বন্ধুদের মাধ্যমে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।
এ ঘটনার পর ৯ জনকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী।
ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের পরপরই শিবপুর ও নরসিংদী সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’