ফতুল্লা থানার লাকি বাজার এলাকায় জেসমিন বেগম নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সদর থানার খানপুর তিনশ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থেকে সোমবার সকালে ওই গৃহবধূর লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
এর আগে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফতুল্লা থানার লাকিবাজার এলাকায় হত্যার এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জেসমিন বেগম চাঁদপুরের উত্তর মতলব থানার দশআনী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার মেয়ে। তার স্বামীর নাম আলী হোসেন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার লাকিবাজারের স্বামীর বাড়িতে দুই সন্তানসহ তিনি থাকতেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি,আলী হোসেনকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দিয়েও জেসমিনকে বাঁচাতে পারলেন না। তাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে।
জানা গেছে, জাসমিনের চারভাই প্রবাসী। আলী হোসেন বিষয়টিকে সূযোগ হিসেবে নিয়ে জেসমিনের কাছে নানা অজুহাতে টাকা চাইতেন। এর আগেও জেসমিনকে টাকার জন্য মারধর করা হলে তিনি তার মেজো ভাইকে ঘটনা জানায়। এ নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। লাকিবাজারের বাড়িতে রোববার রাতে জেসমিনের মৃত্যু ঘটে। স্বামী ফোন করে জেসমিনের স্বজনদের জানায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে, সে মারা গেছে। পরে পরিবারে লোকজন এসে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।নিহতের বোন ও বড় ভাইয়ের দাবি, তার বোনকে পিটিয়ে ও আঘাত করে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।তারা জানন, তার বোন জাসমিন ৭ মাসের গর্ভবতী থাকা অবস্থায়ও তার উপর টাকার জন্য নানাভাবে নির্যাতন চালাতো স্বামী শ্বাশুড়ি ও তাদের স্বজনরা। এরপর ৩ ধাপে ৮ লাখ, ৫ লাখ ও ৭ লাখ টাকা দিয়েও তার ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) নুরে আজম জানান, রাতে নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূ নগরীর খানপুর হাসপাতাল নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে তবে তিনি তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধারের পর নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।