গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ময়মনসিংহের ভালুকার একটি বিনোদনকেন্দ্রের কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে নারী-শিশুসহ এক পরিবারের সাত সদস্য। এসময় ওই পরিবারের এক নারী ও সদস্যকে মারধর করেছে রিসোর্টকর্মীরা।
গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ময়মনসিংহের ভালুকার গ্রীণ অরণ্য পার্কের ফটকে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই এ বিষয়ে ভালুকা থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী ও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের শাহজাহান মিয়া (২৯), তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার নিশি (২৪), বোন জহুরা খাতুনকে মারধর ও হাফিজা, তাছনিম, ভাগ্নি সুমাইয়া, আজমিনাকে লাঞ্ছিত করে।
ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া বলেন, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি প্রাইভেটকার দিয়ে পাশর্^বর্তী ময়মনসিংহের ভালুকা থানার সিডষ্টোর এলাকায় গ্রীণ অরণ্য পার্কে যাই। নির্দিষ্ট প্রবেশ ফি পরিশোধ করে ভেতরে গিয়ে পার্কের বিভিন্ন ধরনের রাইড উপভোগ করতে থাকি। এক পর্যায়ে সুইং রাইড উপভোগ করার জন্য ৫টি টিকেট সংগ্রহ করেও অব্যবস্থাপনার জন্য সুইং রাইড উপভোগ করতে না পেরে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জানাই। একাধিকবার অনুরোধ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালিগালাজ করে। আমি প্রতিবাদ করা মাত্রই ওই ব্যক্তি তেড়ে এসে আমাকে চড় থাপ্পড় মারে। মারধরের প্রতিবাদ করে পার্ক থেকে বের হতে চাইলে সুইং রাইডের ওই ব্যক্তি ১৫/২০জন ব্যক্তি নিয়ে আমার গাড়ির গতিরোধ করে তার স্ত্রী, মেয়ে, বোন ও ভাগ্নিদের মারধর করে এবং শ্লীলতাহানি করে। তার ব্যক্তিগত গাড়ি হামলা চালিয়ে আমার পকেট থেকে ৩০হাজার টাকা, ভাগ্নির গলায় থেকে ৫০হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গাড়ি আটকে রাখলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে গ্রীণ অরণ্য পার্কের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হাসান সাগর জানান, তার অভিযোগ পুরোই মিথ্যা সাজানো। আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি পার্কে আসা দর্শনার্থীদের সাথে ভাল আচরণ করতে। তিনি পার্কে প্রবেশ করার সময়ই পার্কিং এ ঝামেলা করে। এরপর ভেতরে গিয়ে ঝামেলা করে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা বানোয়াট।
ভালুকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ্ কামাল আকন্দ বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে দুটি পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ দুইটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।