নাটোরের হরিশপুর এলাকা হতে অপহরণ মামলার মূলহোতা মো. অন্তর আহম্মেদ (১৯) এবং তার বাবা আতাহার আলী (৪১)কে গ্রেফতার ও তাদের হেফাজত হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র্যাব।
গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের হরিশপুর এলাকা থেকে অপহরণকারীদের গ্ৰেফতার ও অপহৃতাকে উদ্ধার করেন তারা।
র্যাব-৫ সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, বাগাতিপাড়া থানার একটি অপহরণ মামলার সূত্র ধরে র্যাবের একটি চৌকষ আভিযানিক দল মামলার আসামিদের সনাক্তকরণসহ অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। র্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের ও অপহৃত ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরপরে গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে শহরের হরিশপুর এলাকা থেকে অপহরণকারীদের গ্ৰেফতার ও অপহৃত উদ্ধার করেন তারা।
উল্লেখ্য, এর আগে বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় আসামি মো. অন্তর আহম্মেদ (১৯) ভিকটিমকে রাস্তা ঘাটে বিভিন্নভাবে প্রেম ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা এ বিষয়ে জানতে পেরে মানা নিষেধ করলে আসামি মো. অন্তর আহম্মেদ ও আসামির বাবা মো. আতাহার আলী কোন কর্ণপাত করেননি। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম সকাল সাতটার দিকে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাগাতিপাড়ার রহিমানপুর বাজারের মতিনের দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র আসামি মো. অন্তর আহম্মেদ ও তার বাবাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন মিলে ভিকটিমকে অপহরণ করে সিএনজিযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর ভিকটিম বাড়িতে ফিরে না আসলে ভিকটিমের বাবা সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামি মো. অন্তর আহম্মেদ সহ অন্যান্য এজাহারনামীয় আসামিদের গ্রেফতার এবং মামলার ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।