চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নে পুকুরে মাছ ধরা কেন্দ্র করে জটিলতায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুরে রহনপুর ঘরনি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসামী উমর আলীর স্ত্রী আরমানি বেগম। এ সময় তার সাথে ছিলেন নিকটাত্মীয় টিয়া বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরমানি বেগম বলেন, কিছুদিন আগে চৌডালা ইউনিয়নের জনৈক আনারুল ইসলাম গোমস্তাপুর থানায় আমার স্বামী উমর আলী সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগ করে।
এই অভিযোগের তদন্তে গিয়ে গোমস্তাপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম আমার স্বামীর নিকট দুই দফায় ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে উক্ত সাব ইন্সপেক্টর আমার স্বামীর কাছে আরও টাকা চাইলে আমার স্বামী দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আনারুলের বন্ধু আজিজকে দিয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করান।এই মামলায় আমার স্বামী সহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম আমাদের বাসায় গিয়ে কোন পুরুষ মানুষ না পেয়ে মহিলাদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন।তিনি গালিগালাজ করে বলেন, উমরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেফতার করা হবে। আরমানী বেগম এই মামলাকে মিথ্যা বলে দাবি করেন।
তিনি সুবিচারের আশায় সংবাদ সম্মেলন করছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
আসামি উমরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, একমাস আগে চৌডালা পুরাতন বাজারের শ্রী অসীম হলদার ও লিটনকে বাসা থেকে উঠে নিয়ে ব্যাপক ভাবে মারধর করে। সে মারধরে আমার নাম স্বীকার করতে বলে মারধরের এক পর্যায়ে আমার নাম স্বীকার করে।এর পর আনারুল বাদী হয়ে গোমস্তাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোমস্তাপুর থানা সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম আমাকে ভয় ভীতি দেখিয়ে দুই বারে ২০ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে নেই। পরে আবার ২০-২৫ হাজার টাকা দাবি করলে আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই। আমি গরিব মানুষ আর আমি এর ভিতর জড়িত না আমি আর টাকা দিতে পারব না সে তখন বলে টাকা না দিলে কৌশলে তোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করব। যে কথা সেই কাজ আমাদের বিরুদ্ধে অন্যজনকে দিয়ে মামলা দায়ের করেছে।
আর এক আসামি অসিমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন সেদিন আমাকে বাসা থেকে উঠে নিয়ে চৌডালা গুজের ঘাটে, পরে মাদ্রাসা মোড়ে আমাকে রশি দিয়ে বেঁধে অনেক মারধর করেছে এবং বারবার বলছে উমরের নাম বল উমরের নাম বল আমি মার খাওয়ার ভয়ে তার নাম বলেছি কিন্তু আসলে সে আমাদের সাথে জড়িত ছিল না।
এ প্রসঙ্গে সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, তিনি বাদীর মাধ্যমে মামলা পেয়েছেন তাই তিনি তদন্ত করছেন।আসামিদের অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন,আসামিপক্ষ আমার সাথে আগে যোগাযোগ করলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে আমি সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে পারতাম। তবে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিয়ে যাচাই-বাছাই করবেন বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh