নরসিংদীতে রুনা বেগম নামে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী রৌশন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী সদর মডেল থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।
জানা যায়, রুনা বেগম (৪৫) নরসিংদী পৌর এলাকার দত্তপাড়া মহল্লার আব্দুল করিমের মেয়ে এবং হাজীপুর এলাকার ভাড়াটিয়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার দুর্গারামপুর এলাকার জীবন মিয়ার ছেলে রৌশন মিয়ার (৫০) সাবেক স্ত্রী।
রুনার পরিবারের বরাতে পুলিশ জানায়, স্বামীর একাধিক বিয়ে করাসহ পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই বছর আগে স্বামী রৌশন মিয়াকে তালাক দেন রুনা বেগম। এরপর থেকে নরসিংদী বাজারের বিভিন্ন দোকানে পানি সরবরাহ করে তিন সন্তান ২ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন স্ত্রী রুনা বেগম।
শনিবার সন্ধ্যায় রৌশন মিয়া কৌশলে ফুসলিয়ে সাবেক স্ত্রী রুনাকে তার হাজীপুরের নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানেই দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে তার ঘাড়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই রুনার ভাই মো. সাহাউদ্দিন বাদী হয়ে রৌশন মিয়াকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, শহরতলীর হাজীপুরে সাবেক স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত রৌশন মিয়াকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। পলাতক থাকার ৪ ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে হাজীপুরের বেঙ্গল নদীঘাট দিয়ে মেঘনা নদীতে নৌকাযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে পালানোর চেষ্টা করে রৌশন মিয়া। এসময় সদর থানা পুলিশ নৌকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত রক্তামাখা ছোরা জব্দ করা হয়।
এছাড়া পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত স্বামী রৌশন মিয়া। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।