বাংলাদেশের টাকা পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান ও শ্বেতপত্র প্রকাশ,পাচারের টাকা উদ্ধার করে খেলাপি ঋণ আদায়,দায়িদের শাস্তি এবং আর্থিক অব্যবস্থাপনা অনিয়ম বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুর জেলা বাম জোটের উদ্যোগে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গেটের সামনে জোট সমন্বয়ক কমিউনিস্ট পার্টির রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক কমরেড কাফি সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কমিউনিস্ট পার্টি রংপুর জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শাহাদাত হোসেন, বাসদ রংপুর জেলার আহবায়ক কমরেড আব্দুল কুদ্দুস, বাসদ মার্ক্সবাদী রংপুর জেলা আহবায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু ও বাসদ জেলা সদস্য সচিব কমরেড মমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ক্ষমতায় যারা আসীন হয়েছে তারা দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে হাজার কোটি অর্থ নিয়ে তা ফেরত দেয়নি।অথচ দেশের কৃষকরা সামান্য ১০-১৫ হাজার টাকা নিয়ে শোধ করতে না পারলে ঠিকই সার্টিফিকেট মামলা ঝুলছে।টানা ১৫ বছর আওয়ামী জোট ক্ষমতা কুক্ষিগত করে এই মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
জ্বালানি খাতে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, হলমার্ক কেলেংকারি, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরি, প্রকল্পে অধিক অর্থ বরাদ্দ প্রভৃতি করে দেশের অর্থ লুট করে বিদেশে অঢেল বিত্ত বৈভব করে বেগম পাড়া বানিয়েছে।
নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,দেশের শ্রমিক বিদেশে অত্যন্ত কষ্ট করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করছে,অথচ দেশের সম্পদ লুট করে একটা মদদপুষ্ট শ্রেণি বিদেশে সম্পদ পুঞ্জিভূত করছে।তাদের সন্তানদের এদেশে পড়ালেখা করতে হয় না,চিকিৎসা করতে হয় না।তাই তারা দেশের শিক্ষা,স্বাস্থ্য-চিকিৎসা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবে না। বক্তারা অতিদ্রুত অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করে খেলাপি ঋণ আদায় ও দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোড় দাবি জানান।