রংপুরের বদরগঞ্জে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে বদরগঞ্জ থানা পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দুজন ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়াও ডাকাতির সময় ছিনিয়ে নেওয়া দুটি মোবাইলও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর বানুয়াপাড়া গ্রামের মোরশেদ আলী (২৮), কারেঙ্গা পাড়া গ্রামের শাহজাহান আলী (৫০), দক্ষিণপাড়া গ্রামের আবুল কাশেম (৫৬) ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দলুয়া পূর্ব পাড়া গ্রামের নুরুন্নবী (২৯)। গত শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল রোববার বিকেলে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতদের কবলে পড়েন রংপুর পুলিশ লাইনসে কর্মরত উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসানসহ চারজন। ডাকাতেরা পুলিশ কর্মকর্তাসহ ভুক্তভোগীদের কাছে থাকা ৩ টি মুঠোফোন ও ১১ হাজার ৩০০ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় পেয়ে ডাকাতেরা মেহেদী হাসানের হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পেটালে তাঁর মাথা ও কপাল ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। টহল পুলিশ ওই রাতে এসআই মেহেদী হাসানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুল বাড়ি গ্রামের মোস্তাকিম হোসেন ও মিলন রহমানকে। পরে একই গ্রামের আবু তাহেরকে নারায়ণগঞ্জ কাচপুর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি র্যাবের সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার রাতে মোরশেদ আলীসহ বাকি চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনের বাড়ি থেকে ভুক্তভোগী এসআই ও পথচারীর মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতার চারজনকে গতকাল বিকেলে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত বদরগঞ্জে হাজির করা হয়। এ সময় মোরশেদ আলী ও শাহজাহান আলী ওই ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তালমা প্রধান চারজনকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বদরগঞ্জ থানার এসআই ওয়ালি জানান, ডাকাতির মামলায় নতুন করে গ্রেফতার চারজনের মধ্যে শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে বদরগঞ্জ থানায় চারটি, মিঠাপুকুরে দুটিসহ দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুর থানায় ডাকাতি ও চুরির অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে। অপর তিনজনের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে বদরগঞ্জ থানায় চুরির একাধিক মামলা আছে।