পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকার অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে।
পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ও তার সহকারির অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে ৬ মার্চ লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিবারটির এক সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর খন্দকার পাড়া গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী সাগরিকা বেগমের গত ২৬ ফেব্রয়ারি সন্তান প্রসব বেদনা শুরু হলে পরিবারের লোকজন ওই প্রসূতিকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ বড়ভিটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সাকিলা বেগম ও সহকারি নাজিরা বেগম প্রসূতি সাগরিকার বাচ্চা নরমালে প্রসবের চেষ্টা করে। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা নরমালে বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হলে প্রসূতির পরিবারের লোকজন প্রসূতিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চাইলে তারা তাদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেন। পরবর্তীতে বেলা ১টার দিকে তাদের ভুল ও অনভিজ্ঞ প্রচেষ্টার কারণে পুত্র সন্তান প্রসব হলেও নবজাতকটির মাথায় ব্যাপক আঘাত পায়। ফলে নবজাতকটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সাকিলা বেগম ও নাজিরা বেগম প্রসুতি এবং নবজাতককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরিবারের লোকজন প্রসূতি ও নবজাতককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতককে মৃত্যু ঘোষণা করে। অভিযোগ পত্রে তারা আরও উল্লেখ করেন যে, উক্ত পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সাকিলা বেগম ও নাজিরা বেগম ইতিপূর্বে আরও এরকম ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা সাকিলা বেগম ডেলিভারীর সময় নবজাতকের মাথায় আঘাতের কথা অস্বীকার করে বলেন- নবজাতকটি প্রসব হওয়ার পর কান্না না করায় নবজাতক ও প্রসূতি মাকে আমরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরমর্শ দেই।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর আলম বড়ভিটা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্তব্যরতদের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।