ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক জরিমানা ও মুচলেকা দেয়ার পরও সিংগাইরের বিভিন্ন স্থানে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি অব্যাহত রেখেছে প্রভাবশালী মহল।
রাতের অন্ধকারে এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে ফসলি জমির মাটি কেটে ড্রাম ট্রাকে করে ইটভাটায় সরাবরাহ করা হচ্ছে। উপজেলার প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট করে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে।
স্থানীয় প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করলেও তা আমলে নিচ্ছেন না মাটি ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, সোমবার (৪ মার্চ) চকপালপাড়া এলাকায় পুকুর কাটার নামে মাটি বিক্রীর অভিযোগে এস্কেভেটর (ভেকু) জব্দ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান। পরে জমির মালিক হাবিবুর রহমানকে পুকুর কাটার আবেদন মঞ্জুর হওয়া না পর্যন্ত মাটি না কাটার অঙ্গীকারনামা নেয়।
অপরদিকে, চান্দহর ইউনিয়নের চকবাড়ী/মালিকখোলা থেকে তিন ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগে তাৎক্ষনিক কাউকে না পাওয়ায় এস্কেভেট (ভেকু) ড্রাইভাকে আটকপূর্বক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবং তিন ফসলি জমির মাটি না কাটার মৌখিক অঙ্গীকার নেয়।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে সরজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভ্রাম্যমান আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বিঘ্নে তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি অব্যাহত রেখেছে ওই চক্রটি।
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাত ভর চলে মাটি কাটার মহা উৎসব। শনিবার সারারাত তিন ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।
চান্দহর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি এক্সেভেটর (ভেকু) দিয়ে আবাদি জমির মাটি কেটে ড্রাম ট্রাক যোগে বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত এক্সেভেটরটি জব্দ করে এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি মাটি না কাটার মৌখিক অঙ্গীকার প্রদান করে।
সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আব্দুল কাইয়ুম খান আজকের তরুণকণ্ঠ’কে বলেন, জমির মালিক হাবিবুর রহমান ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পুকুর কাটার আবেদন (ইউএনও অফিসে অপেক্ষমান রয়েছে) মঞ্জুর না হওয়া পর্যন্ত মাটি না কাটার অঙ্গীকার করেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষা ও অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতাই আনতে জেলা প্রশাসক স্যারের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তিনি উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ করেন।