নারায়ণগঞ্জ সদর থানার টানবাজার এলাকায় সুতার গুদাম ও জেলার রূপগঞ্জ থানার গোলাকান্দাইল এলাকার ফার্নিচার পল্লীতে ভয়াবহ আগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে প্রায় ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও সুতার গুদামে সামান্য ক্ষতি হয়েছে।
বুধবার (১৩ মার্চ) সকালে সদর থানার টানবাজার সুতার গুদামে ও দুপুরে রূপগঞ্জ থানার এশিয়ান হাইওয়ে বাইপাস সড়কের গোলাকান্দাইল চৌরাস্তার পাশে ফার্নিচার পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, টানবাজারের হাজী সাত্তার টাওয়ারের আন্ডারগ্রাউন্ডে জেনারেট রুম ও সুতার গুদাম অবস্হিত।ওই টাওয়ারের জেনারেটর সংযোগ থেকে সকাল সাড়ে ১০টার পর আগুনের সূত্রপাত ঘটে।সুতার গুদামে আগুনের বিস্তৃতি ঘটে।মন্ডলপাড়া স্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়। ফলে কেউ হতাহত বা বড় ধরনের কোন ক্ষতি হয়নি।
বুধবার দুপুরে গোলাকান্দাইল ফার্নিচার পল্লীর একটি লেপ তোষকের দোকানে বৈদ্যুতিক মিটার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। ফার্নিচার পল্লীর লেপ তোষকের দোকানে এরপর আগ্নিকান্ড ঘটে। আগুনের শিখা মুহুর্তের মধ্যে পুরো ফার্নিচার পল্লীতে ছড়িয়ে পড়ে।
আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন অফিসার রবিউল হাসান বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চন ও আড়াইহাজার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে ২৪ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার ৪
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুর এলাকা থেকে ভাঙারির বস্তায় থাকা ২৪ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপভ্যানসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার মাসদাইর গুদরাঘাট এলাকার এডভোকেট নবী হোসেনের বাড়ীর আব্দুল বারেকের ছেলে নাসিরউদ্দিন (৩৮), কুমিল্লার মুরাদনগর থানার দক্ষিনপাড়া পায়ব কেয়টপাড়া গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে সুমন মিয়া(৩৮), মুরাদনগর থানার গ্সোনারপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে শাকিল (২৭), রায়তল গ্রামের সরু মিয়ার ছেলে সালাহউদ্দিন (২৪)কে গাজা, পিকআপসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দর থানায় রাতেই আসামীদের নামে মামলা করা হয়।
থানা থেকে বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেলে আসামিদের আদালতের পর কারাগারে পাঠানো হয়।