শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রতিবেশী আলমগীরের হাতে হত্যা হয়েছে অটোচালক মোশারফ। গত (১৩ মার্চ) বুধবার বাসা থেকে ইফতার শেষ করে স্ত্রীর জন্য ঔষধ ও রান্নার করার জন্য বেগুন কিনতে বাজারে যায় মোশারফ এবং ঔষধ ও বেগুন কিনেই বাড়িতে ফেরার কথা ছিলো তার। কিন্তু বাজারে গিয়েই একই এলাকার প্রতিবেশী আলমগীরের কথা মতো রাতের ভাড়া ধরেন মোশাররফ। সেই ভাড়া ধরাই যেনো কাল হলো মোশারফের।
উপজেলার কালাকুমা এলাকায় মোশারফকে কোমল পানীয়'র সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে এবং অচেতন অবস্থায় মোশারফেরই গলায় থাকা গামছা দিয়ে পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে প্রতিবেশী আলমগীর। সেই মৃত মোশারফকে অটোতে করে নিয়ে ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ঘাকপাড়া-মন্ডলিয়াপাড়া এলাকায় রাস্তার ধারে ধানক্ষেতে মোশারফের মরদেহ ফেলে অটো নিয়ে চলে যায় হত্যাকারী। এবং সেই রাতেই অটো উধাও করে অটোতে থাকা ৪টি ব্যাটারি ৩২ হাজার টাকায় হত্যাকারী আলমগীর তার আপন খালু অটোচালক নূর ইসলামের কাছে বিক্রি করে। আর সেই ব্যাটারি বিক্রির সূত্র ধরেই চাঞ্চল্যকর এই অটো চালক মোশারফ হত্যার রহস্য উন্মোচন করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী আলমগীর পুলিশের নিকট এভাবেই বর্ণনা করেন তার হত্যাকাণ্ড।
রোববার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটি জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম।
গত ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ঘাকপাড়া-মণ্ডলিয়াপাড়া পাকা সড়কের পাশে ধানক্ষেতে পাওয়া যায় অটোচালক মোশারফের মরদেহ। ওই মরদেহের পরিচয় সনাক্তের পর পুলিশ মাঠে নামে। শুক্রবার রাতে উদ্ধার করা হয় উধাও হওয়া অটোরিকশাটি। ওই রাতেই গ্রেফতার করা হয় হত্যাকারী আলমগীর ও ব্যাটারি ক্রেতা নূর ইসলামকে। রোববার তাদের আদালতের মাধ্যমে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।