× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ঢাবিছাত্র হত্যায় ২৪ বছর পর সেনা-বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

২৪ মার্চ ২০২৪, ১৫:২২ পিএম

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র আব্দুর রহিম (৫৪) হত্যা মামলায় সেনা ও বিজিপির সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম দুই জন আসামি উপস্থিত ও পাঁচ জনের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

সাজাপ্রাপ্তরা জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক ওরফে তারিক, ওসমান আলী সরদারের আ. গফুর ওরফে গফুর (উপস্থিত), মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ (উপস্থিত),  বাকী পালাতকরা হলো জাহাঙ্গীর আলম মন্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম ওরফে তৌফিক, মৃত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে সেনা সদস্য জুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বিজিবির সদস্য হাসিবুল হাসান ওরফে হাসিবুল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুর রহিম  ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপনে  বিকাল ৫টায় সে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে উপজেলার দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে আসেন। সে ২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি বিকাল ৪টার দিকে বাড়ি বের হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আর ফিরে নাই। পরদিন ১২ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ কানুপুর গ্রামের পাশে একটি পুকুরপাড়ে  মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা । খবর পেয়ে আব্দুর রহিমের মরদেহ সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায়  নিহতের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল বাদী হয়ে ২০০০ সালের ১২ জানুয়ারী বেগুনবাড়ি গ্রামের ঝন্টু, তৌফিকুল ইসলাম ও জুয়েলের নাম উল্লেখ  করে আক্কেলপুর থানায় মামলা করেন।  পরবর্তীতে ২০০৭ সালের ২২ অক্টোবর  তৎকালীন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা   অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহাবুব উল আলম আসামীদের স্বীকারোক্তিতে তদন্তে ৭জনের নামে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।দীর্ঘশুনানী শেষে আজ দুই জন আসামীর উপস্থিতিতে ও পাঁচজনের অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক এ রায় দেন।

মামলার আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল পিপি,  গকুল চন্দ্র মণ্ডল, এপিপি। আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.