রংপুরে সংখ্যালঘু পরিবারের এক নারী স্বামীর বাড়ি থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পরকীয়া করে অন্যত্র সংসার করার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিভাষ কুমার নামে এক ভুক্তভোগী স্বামী।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে নগরীর গ্রান্ড হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাষ কুমার রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার কুমারপাড়া এলাকার মৃত নরেশ চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে।
বিভাষ লিখিত বক্তব্য বলেন, রংপুর নগরীর জুম্মা পাড়া মারুয়াপট্টি এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ শর্মার মেয়ে অদিতী প্রামানিক বর্ষার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। দাম্পত্য জীবনে ১০ বছরের এক ছেলে ও ১২ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে তাদের। আমি আমার স্ত্রী অদিতী প্রামানিক বর্ষাকে সরল মনে বিশ্বাস করে তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহী শাখায় ৩০ লাখ টাকার পরিবার সঞ্চয়পত্র করে দেই।
আমার কর্ম ব্যস্থতার সুযোগে আমার স্ত্রী অদিতী প্রামানিক বর্ষা তার বাবার বাড়ি রংপুরে যাতায়াত করাকালে সেন্ট্রাল রোডস্থ সাধারণ বীমায় চাকরিরত বরিশাল জেলার নয়ন দে নামের এক ছেলের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নয়নের ইন্ধনে আমার স্ত্রী বর্ষা ব্যাংকের সমস্ত টাকাসহ নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে আমার বাড়ি থেকে চলে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজির ৭/৮ দিন পর জানতে পারি আমার স্ত্রী অদিতা সন্তানদের নিয়ে তার বাবার বাড়িতে উঠেছে। এবং আমাকে বলে সে আর আমার সংসার করবে না বলে জানায়। সেই থেকে সে আমার সংসারো করে না এবং তালাকও দেয় না। বরং উল্টো আমাকেসহ আমার পরিবারের লোকজনদের হয়রানিমূলক মামলা দিয়েছে। আর এসব কিছু করছে ওই নয়ন দে।
তিনি আরো বলেন, এই নয়ন শুধু আমার সংসার নয়, সে তার স্ত্রী সন্তানসহ আমার সন্তান ও পরিবারকে ভোগান্তিতে রাখছে।
পরিশেষে তিনি নয়ন ও তার স্ত্রী বর্ষাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।