× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সুর্বণচরে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের চেষ্টা প্রভাবশালীদের

মো. এনায়েত হোসেন, নোয়াখালী

২৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫১ পিএম

নোয়াখালীর সুর্বণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে এক নারী মেম্বার থেকে জমি দখল ও চাঁদার দাবি এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়।

ভোক্তভোগী আলেয়া মেম্বার সুর্বণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের একজন স্থায়ী বাসিন্দা ও শহীদ পরিবারের সন্তান এবং ওই ইউনিয়নের সাবেক ব্লক মেম্বার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন থেকে আলেয়া বেগম মেম্বার প্রায় ২ একর সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণের লিখিত দায়িত্ব পাওয়ার পরে কিছু কুচক্রী মহল উঠেপড়ে লেগেছে বিভিন্ন কায়দায় মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের জমি দখলের চেষ্টাই। আলেয়া মেম্বার যখন বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন থেকে অনুমতি নিয়ে ওই জায়গায় যখন তার আরেকটি জমি থেকে মাটি এনে ভরাট করে দোকান ঘর তোলা শুরু করেন, তখনই এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতা তার কাছে প্রথমে ঘরের বিটার দাবি করেন। পরে ঘরের বিটা না পাওয়ায় মোটা অংকের টাকার দাবি করে।

ভোক্তভোগী এলাকার প্রভাবশালী নেতা হতে একেবারে নিম্ন শ্রেণির নেতাদের টাকা পয়সা ঠিক মতোই না দিতে পারাই ওই সব নেতাকর্মী তাদের কৌশলের মাধ্যমে এলাকায় কিছু মহিলা দিয়ে তার স্বামীর সামনে বেদম মারধর করেন।

ভোক্তভোগী এলাকাতে কারো কাছে কোন বিচার না পাওয়ায় হতাশা হয়ে পড়েন। পরে তিনি জেলা প্রশাসক, সুর্বণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট অভিযোগ দাখিল করলে তারা তদন্ত করে প্রথমে সঠিক প্রমাণ পাওয়ায় এটা বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের  জায়গা। তারপর কাগজপত্র দেখে জমিগুলো সহকারী কমিশনার ভূমি তিনি সরজমিনে নিজে এসে মূল জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনকে ভূমির পরিমাপ করে বুঝিয়ে দেন। পরে কিছু এলাকার কুচক্রী মহল ডিসি, ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসিসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ভুল বুঝিয়ে আলেয়া মেম্বারের উপর নানাভাবে অত্যাচার শুরু করে ফলে আলেয়া মেম্বার ঐ জমিতে দোকান ঘর করতে বাঁধার মুখে পড়ছেন। এদিকে দোকান ঘরের বিটাই মাটি না ফেলাতে পেরে দোকান ঘরগুলো ভেঙে পড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে আলেয়া মেম্বার।

তিনি আরও বলেন, আমার সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বলে এমন অভিযোগ করেন।

তিনি কিভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের জায়গা দায়িত্ব নিয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে আলেয়া মেম্বার জাতীয় দৈনিক সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, আমিও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভাই যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তারা তাদের জমি রক্ষণাবেক্ষণ না করতে পারাই আমাকে লেখিত দেন যে আমার পরিবর্তে তুমি এই জায়গা দেখাশোনা করবে।যেখানে যা প্রয়োজন তুমি কর। যদি কোন খানে অফিস আদালতে সমস্যা হয় তাহলে তুমি আমাকে ফোন দিলে আমি হাজির হয়ে যাবো স্বশরীরে। না হয় ফোনে বলে দিবো। এখন আমি ওই কাগজ নিয়ে যখন মাটি ভরাট শুরু করি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতা আমার কাছ থেকে প্রথমে ঘরের বিটার দাবি করেন। আমি তাদের ঘরের বিটাও দিই এরপরে আমার কাছে চাঁদার দাবি করেন। আমি যখন চাঁদা বা ঘরের বিটা দিতে রাজি না হয় তখন আমার উপর নানাভাবে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে। পরে আমি সংসদ সদস্যকে বিষয়টা জানাইলে তিনি এসে সরজমিনে দেখেন এবং আমাকে নির্দেশ দেন মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন আর আমি মিলে যেন এই জায়গাটা ভোগ করি। এরপরেও কিছু স্থানীয় নেতারা আবার এমপিকে ভুল বুঝিয়ে দেন যাতে আমার বিরুদ্ধে কাজ করে। আমি তারপরও জোর করে আইনের আশ্রয় নিয়ে জায়গাটা ভরাট করি কিছু ঘর তুলি।ঘর করতে গেলেও আমাকে অনেকে বাঁধা দেয় এসব বাঁধা না শুনে আমি কাজ করে যাচ্ছি। কিছু লোক রাতের আধাঁরে জোরপূর্বক ঘর করতে চাইলে আমি সুর্বণচর ইউএনও এবং চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জের সহযোগিতায় সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করি। এখন আমি যাতে সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারি সে জন্য সহযোগিতা চাই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের সাথে সরাসরি কথা হলে তিনি জানান,আমি অসুস্থ হওয়ায় আমার ভূয়াঁরহাটের ঐ জায়গাটুকু আলেয়া মেম্বারকে দায়িত্ব দি। কারণ আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ। আমার পক্ষে আসা যাওয়া খুবই কষ্টকর। এখন শুনছি ওই এলাকার কিছু প্রভাবশালী নেতারা নাকি আমার জায়গা জবর দখল করতে চাই। এ বিষয়টা আমাকে বাসায় এসে আলেয়া মেম্বার জানাইলে আমি জেলা প্রশাসকে অবহিত করি তিনি আমাকে বলেছে যথেষ্ট পরিমানে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন।

অন্যদিকে ভোক্তভোগী আলেয়া মেম্বার অভিযোগ সঠিক কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে সুর্বণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন সরকার বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে আমি সুর্বণচর সহকারী কমিশনার ভূমিকে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের জায়গাটা সরজমিনে গিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দিলে সহকারী কমিশনার ভূমি সরজমিনে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের উপস্থিতে জায়গাটা বুঝিয়ে দিয়ে আসেন। তখন সেখানে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতির পাশাপাশি আলেয়া মেম্বারও ছিলেন। পরে শুনলাম আলেয়া মেম্বারকে বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন নাকি লিখিতভাবে ওই জায়গার রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য দায়িত্ব দেন। এছাড়া আলেয়া মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিনের আত্মীয় বলে পরিচয় দেন। আমরা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন ততটুকু করেছি প্রশাসনিকভাবে। প্রয়োজনে আরও করবো। কেউ যদি মুক্তিযোদ্ধার জায়গা দখল করতে চাই তাহলে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিবো।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.