× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ভৈরবে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৫০ দোকান ভাঙচুর, আহত ২০

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

২৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:০৯ পিএম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি চায়ের দোকানে কনুই লাগাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫০টি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ ২০ জন আহত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত নয়টায় পৌর শহরের গাছতলাঘাট নার্সারী রোড এলাকা ও মাদ্রাসা রোড এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাছতলাঘাট এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ২৫ মার্চ রাতে গাছতলাঘাট বাজারে ছিদ্দিক মিয়ার চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়ার সময়  ওই এলাকার মুজিবুর মিয়ার শরীরে নার্সারি রোড এলাকার রাহাদ নামে এক যুবকের কনুই লাগলে চা পড়ে যায় । এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাকবিতাণ্ড হয়। পরে একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয়রা এসে ঝগড়া থামিয়ে দেই। পরদিন সন্ধ্যায়  মিমাংসা করা হবে বলে সবাই জানান।

২৭ মার্চ রাত ৮টায় এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগসহ নেতৃবৃন্দ সালিশ দরবারে বসেন। সালিশ শেষে দুইপক্ষ আবারো দা, বল্লম, লাঠি সোঠা, ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ এলোপাথারি রাস্তার পাশের থাকা মাদ্রাসা মার্কেটসহ ৫০টির মতো দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের ২০ জন আহত হয়। আহতরা হলো, হৃদয় মিয়া, মনির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ফাহিম মিয়া, কাসেম মিয়া, বাঁধন মিয়া, সবুজ মিয়া,  মাহিন খান, মিলন মিয়া, জিবন মিয়া, আরমান মিয়া, নোফেল মিয়া, জুয়েল মিয়া ও আলফিক মিয়া। তারা সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঝগড়া ফেরাতে গিয়ে কাউন্সিলর আলী মোহাম্মদ সোহাগ আহত হয়েছেন। 

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কাল্লু মিয়া ও মুশাদ মিয়া জানান, মারামারি হতেই পারে তাই বলে দোকানপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করবে কেন। আমরা কি অপরাধ করেছি। এলাকার কিছু বখাটে এই ঝগড়ার সৃষ্টি করেছে। আজ রোজা রেখে আমরা অনেক মুসুল্লী তারাবীহ নামাজ পড়তে পারি নাই। 

এ ঘটনায় খতিগস্ত দোকানদার ইয়াহিয়া বলেন, আমাদের কি অপরাধ? আল্লাহ আমাদের প্রাণে বাঁচিয়েছে। হঠাৎ এলোপাথারি দোকানে দায়ের কোপ দিতেছিল। কোন রকম প্রাণে বেঁচেছি। আমার দোকানসহ অনেকগুলো দোকানের সাটারগুলো ভেঙ্গে দিল।

এ বিষয়ে মাদ্রাসা রোড এলাকার মুজিবুর মিয়া বলেন, সোমবার রাতে আমি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। রাহাদ নামে এক যুবক আমাকে কনুই দিয়ে আঘাত করেছে। আবার আমার কাছে ক্ষমা না চেয়ে খারাপ ব্যবহারও করেছে। পরে আমার ভাই ভাতিজার সাথে এ নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। মঙ্গলবার দরবার সালিশে এ নিয়ে আবার ঝগড়া হয়। 

এ বিষয়ে নার্সারি রোড এলাকার মোহন মিয়া বলেন, ২৫ মার্চ সোমবার আমার ছোট ভাই রাহাদ চায়ের দোকানে চেয়ারে বসতে গেলে মুজিবুর মিয়ার শরীরে কনুই লেগে যায়। সাথে সাথে আমার ছোট ভাই মাফও চেয়েছে। কিন্তু মুজিবুর মিয়া তার বাড়ির লোকজন ডেকে আমার ছোট ভাইদেরকে মারধোর করেছে। পরদিন আবার সালিশ দরবারে তারা আমার ভাইদেরকে মারধোর করে। পরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। 

এ বিষয়ে ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী সোহাগ বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনায় দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ফেরাতে গিয়ে আমিও আঘাত পেয়েছি। ২৬ মার্চ মঙ্গলবার সালিশের মাধ্যমে ঝগড়ার মীমাংসা করে দেয়। পরক্ষণে কিছু দুষ্কৃতকারীর ইন্দনে দুই পক্ষ ঝগড়া করে অনেকগুলো দোকাপাট বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। বিষয়টি দুঃখজনক। 

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.