প্রকৃতির বিরুপ প্রভাবে চৈত্রের তাপদাহের মধ্যেই দিনরাত কালো মেঘে ঢাকা আকাশে চলছে বিকট শব্দে বজ্রের ধ্বনির সাথে ভূপৃষ্ঠে বজ্রাঘাতের পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি ও ভারি বৃষ্টির সাথে আগাম কালবৈশাখী ঝড়।
ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় বজ্রাঘাতে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৩০টি বাড়ি-ঘর।
রোববার সকালে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল ও গজারিয়া এলাকার ওপর দিয়ে বয়ে যায় এ ঝড়। ঝড়ের আকস্মিক তীব্রতায় ভেঙে গেছে গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি। নষ্ট হয়ে গেছে উঠতি ফসলের কৃষি জমি। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩০টি পরিবার।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সকাল ৭টার দিকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আকাশ কালো হয়ে তীব্র গতিতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। কিছু বুঝে উঠার আগে মুহূর্তেই ঝড়ের তীব্র গতিতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বসতবাড়ি। বিধ্বস্ত হয় ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা। নষ্ট হয়ে যায় উঠতি ফসলের জমি ও আমের মুকুল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন তারা।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলবানু বেগম জানান, ‘আমার একমাত্র অবলম্বন ঘরটি হঠাৎ ঝরে বিধ্বস্ত হয়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।’ স্বামী হারা বিধবা ফুলবানু অসহায় হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিয়েছেন। অপর ক্ষতিগ্রস্ত মোবারক হোসেন জানান, ধার-দেনা করে একটি নতুন ঘর তুলে ছিলেন তিনি। কিন্তু ঝড়ের তীব্রতার কারণে সেই ঘরটিও মুহুর্তের মধ্যে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। তিনি অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। অসহায় অবস্থায় তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ জানান, ‘হঠাৎ ঝড়ে ৩০টি বাড়িঘর, কিছু বৈদ্যুতিক খুঁটি ও একটি প্রাইমারি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রীসহ সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।’