মাদারীপুরে ফেন্সিডিলসহ আবারো আটক করা হয়েছে সাবেক ইউপি সদস্য মুনজুর হোসেন মিন্টু শিকদারকে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের শাজাহান খান কলেজের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মিন্টু মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য। এর আগে ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জেলার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ফেন্সিডিলসহ আটক হয় মিন্টু শিকদার।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক বিক্রি করা হচ্ছে এমন খবরে যৌথ অভিযানে যায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা। এ সময় একটি তরমুজের একটি ট্রাকসহ আটক করা হয় মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিন্টু শিকদারকে। পরে ট্রাকটি তল্লাসী করে ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। সদর মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে দুই বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করে। পরে পাঠানো হয় মাদারীপুর আদালতে।
এদিকে স্থানীয়দের ভাষ্য দুই বোতল ফেন্সিডিল নয়, শতাধিক বোতল নিয়ে আটক হয় এই সাবেক ইউপি সদস্য। পরে অদৃশ্য কোন কারনে কমে যায় ফেন্সিডিলের বোতলের সংখ্যা।
প্রত্যক্ষদর্শী শাওন নামে একজন জানায়, রাতে আটক তরমুজের গাড়িটি প্রথমে মাদারীপুর সরকারি কলেজের ভেতর রাখা হয়। পরে সেখান থেকে কম ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেয় পুলিশ। সে সময় কয়েকজন পুলিশও ছিল।
সুজন ও ইলিয়াস নামে দুই যুবক জানায়, মিন্টু শিকদার কয়েকবার মাদকসহ আটক হয়েছে। একাধিক মামলাও রয়েছে, তারপরও সে বেপরোয়া। রাতে এবার আটকের সময় প্রকাশ্যে শত শত মানুষ ছিল, ফেন্সিডিল ছিল অনেক। কিন্তু কি কারণে এত কম বোতল মামলায় দেখানো হয়েছে সেটি জানা দরকার।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন জানান, মিন্টু শিকদারকে ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে আটক করে। তাকে দুই বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করা হয়। পরে পাঠানো হয় আদালতে। লোকমুখে মাদকের সংখ্যা বেশি রয়েছে এমন প্রশ্নে ওসি জানান, পুলিশ দুই বোতল পেয়েছে, তাই দুই বোতল ফেন্সিডিল দিয়ে মামলা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ধারণা, আর বাস্তবতা এক নয়। তবে, মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের কোন আপোষ নেই।