পবিত্র ঈদুর ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, কিশোরগঞ্জের বড় বড় বিপনী বিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানগুলোতেও জমজমাট কেনাবেচা ততই বাড়ছে। ঈদ বাজারে ক্রেতাদের আনাগোনা ও আগাম কেনাকাটা করতে দেখে ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বছরের এগারটি মাস বেঁচা-বিক্রি কম হলেও রমজানের শেষের দিকে তাদের কেনা-বেঁচা খুবই ভাল। দামও খুব বেশি বাড়েনি। তবে ক্রেতারা বলছেন ভিন্ন কথা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে যেমন সব পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, তেমনি পোষাকের দামও গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুন প্রায়। তারপরও পরিবারের সবার কথা ভেবে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে আসছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কেনাকাটায় সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটাতে না পারলেও তীব্র গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তারা এ মার্কেট ও মার্কেট এবং ফুটপাতের দোকানগুলো চষে বেড়াচ্ছেন।
তবে ব্যতিক্রম হাওরাঞ্চলে। চৈত্র হাওরের অভাবি মাস হিসেবে পরিচিত। সাধারণত হাওরের মানুষ প্রধান ফসল বোরো ধানের উপর নির্ভরশীল। বোরো ধান এখনও উঠেনি। তাই সাধারণ কৃষকের হাতে টাকা নেই। তারা ধারকর্জ করে ফুটপাতের দোকান কিংবা তেরিপট্টির কমদামের দোকানে কেনাকাটা করছে।
নিকলী উপজেলা থেকে আগত রমজান নামের এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর শহরে এসে ঈদের কেনাকাটা করতাম। এবার ধান গোলায় উঠেনি। তাই ধারকর্য করে ছেলে-মেয়ের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি।
অন্যদিকে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বলছেন- সারাদেশের ন্যায় আমাদের কিশোরগঞ্জের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে দিয়েছে প্রশাসন। এতে আমাদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। রমজানের শেষ কটাদিন ব্যবসা করতে পারলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে।
ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিটি শপিংমল যেমন- ঈশাখাঁ সুপার মার্কেট, নিরালা টাওয়ার, চৌধুরী প্লাজা, মাধবী প্লাজা, আনোয়ারা সুপার মার্কেট, রুমা সুপার মার্কেট, খালেক মার্কেট, নতুন বাজার, ঈশাখাঁ রোড, কবির লস্কর প্লাজা, বড়বাজার ও তেরীপট্টির মার্কেটগুলোতে ঝিলমিলে হরেক রকমের আলোকসজ্জায় আলোকিত করা হয়েছে।
চুরি-ছিনতাই ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ‘সংবাদ সারাবেলা’কে বলেন- ‘পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করেছি। কোন প্রকার অপৃতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে জন্য সাদা পোশাকে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারী আছে।’