× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পুড়িয়ে মারার ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ, গ্রেফতার ৪

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম

প্রতীকী ছবি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ঈদের দিন সন্ধ্যায় নানা বাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক কিশোরীকে তিন দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে কয়েকজন তরুণ। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বোনের দায়েরকৃত মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতার হওয়া চার তরুণ দুদুল সরদার, তুষার মাঝি, শাকিব ও নাহিদ। গ্রেপ্তারকৃতদের বয়স ২০ থেকে ২১ বছর। এদের মধ্যে দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনীতে পড়ালেখা করে। তার বাবা নেই। মা ও বোনদের সঙ্গে থাকে সে। গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে যাওয়ার পথে তাকে চন্ডিপুর ভিআইপি মোড় এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি নামে দুই তরুণ। ভূক্তভোগী কিশোরীকে তুলে নিয়ে সুরেশ্বর দরবার শরীফের ভক্তদের থাকার একটি টিনের ঘরে আটকে রাখা হয়। কিশোরীকে আটকের পর বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুদুল সরদার ও তুষার মাঝি। এরপর শনিবার সকালে তারা আরো তিন তরুণকে ডেকে আনে। ওই তিন তরুণও ভুক্তভোগী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে একটি অটোরিক্সায় উঠিয়ে দেয় অপহরণকারীরা।

বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী কিশোরী তার বোনদের কাছে ঘটনা খুলে বললে তারা তাকে নড়িয়া থানা পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। নড়িয়া থানা পুলিশ শনিবার রাতে ওই কিশোরীকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। আজ রোববার দুপুরে সদর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বড় বোন বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচ তরুনের নামে একটি ধর্ষনের মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই কিশোরী বলেন, ‘ঈদের দিন আমার নানা বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় দুদুল ও তুষার মাঝি আমাকে মুখ চেপে অটোরিক্সায় করে সুরেশ্বর দরবার শরীফের পাশে একটি টিনের ঘরে নিয়ে আটকে রেখে জোর করে আমাকে ধর্ষণ করে। তারা আমার মুখ চেপে রাখে। আমাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। দুদুল ও তুষার আমাকে ধর্ষণ করার পরে শনিবার সকালে আরো তিনজন এসে আমাকে আবার ধর্ষণ করে। আমাকে যেই একটি ঘরে আটকে রাখা হয়, সেই ঘরের বাইরে পাহারায় লোক ছিল। এরপর আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে একটি অটোরিক্সায় উঠিয়ে দেয় তারা। পরে বাড়িতে গিয়ে আমি আমার বোনকে সব ঘটনা খুলে বলেছি। আমি ওদের বিচার চাই।’

মামলার বাদী ও  ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বোন বলেন, ‘আমরা একদমই গরিব মানুষ। মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাই। আমার ছোট বোনটারে ওরা নির্যাতন করল। আমি দেশের ওদের এমন বিচার চাই, যেন আর কারও ওপর এমন নির্যাতন না হয়।’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। এমন একটি বিষয় নিয়ে পুলিশ ও ওই কিশোরীর স্বজনরা হাসপাতালে কিশোরীকে ভর্তি করিয়েছে। তাকে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। ধর্ষণের বিষয়টি পরীক্ষা করার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরে বিস্তারিত বলতে পারব।’

বিষয়টি নিয়ে নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী। এমন অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তি দিয়েছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.