জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিনের স্বাক্ষর আদায় করে জোরপূর্বক প্রার্থিতা বাতিলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থী নিজে লিখিত অভিযোগ নিয়ে অবস্থান করছিলেন। এসময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজনও সমঝোতার জন্য একইস্থানে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন উল্লেখ করেন, সমঝোতার কথা বলে কিছু লোক তার কাছ থেকে স্বাক্ষর আদায় করে এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জমা দেয়। তিনি এই সমঝোতায় একমত না। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অপপ্রচার করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরের দিকে সামস উদ্দিন লিখিত অভিযোগটি জমা দেন। এর কিছুক্ষণ আগে তারই স্বাক্ষরকৃত প্রার্থিতা প্রত্যাহার সংক্রান্ত আবেদন জমা দেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন। এরপর পাল্টা অভিযোগ নিয়ে তিনি সশরীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে হাজির হন।
সূত্র জানায়, সরিষাবাড়ীতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বী পোগলদিঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামস উদ্দিন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ রয়েছে, রফিকুল ইসলামের বিজয় নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামস উদ্দিনকে সরাতে রাজধানী ঢাকায় দফায় দফায় বৈঠক হয়। স্থানীয় এমপির পরিবারের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা সমঝোতার নেতৃত্ব দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিন মুঠোফোনে জানান, প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর লোকজন সমঝোতার কথা বলে আমার স্বাক্ষর নেয় এবং ওই স্বাক্ষরে প্রত্যাহারের আবেদন লিখে তারাই নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। ঘটনার শোনার পর আমি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে পাল্টা আবেদন করেছি।
এব্যাপারে সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এডভোকেট শহিদুল ইসলাম চেয়ারম্যান প্রার্থী সামস উদ্দিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের লিখিত আবেদন নিয়ে এসেছিলেন। উপজেলা কার্যালয়ে জমার নিয়ম না থাকায় তাকে জেলায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় এমপির ছোটভাই এডভোকেট শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সমঝোতা কীভাবে হয়েছে তা জানি না। প্রত্যাহারের আবেদন আমি নিয়ে যাইনি, নেতাকর্মীরা নিয়ে গেছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শায়েনুজ্জামান জানান, প্রত্যাহারের শেষসময় আগামীকাল (আজ সোমবার)। একবার সামস উদ্দিনের নামে প্রত্যাহারের আবেদন পেয়েছি, পরে আবার প্রার্থী নিজে এসে বলছেন যে, তিনি প্রত্যাহার করেননি। আমরা আইনগত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি যে, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উভয়পক্ষই সমঝোতার চেষ্টায় নির্বাচন কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন বলেও তিনি জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh