× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

উপকূলের অর্ধশতাধিক জলদস্যু অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করতে সেফহোমে

এ.এম হোবাইব সজীব, কক্সবাজার

২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১১ পিএম । আপডেটঃ ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭ পিএম

কক্সবাজারের পাহাড়ীদ্বীপ মহেশখালী, কুতুবদিয়া,চকরিয়া,পেকুয়া সহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিহ্নিত জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় অভিযানে টিকতে না পেরে ইতোমধ্যে জলদস্যুদের অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সেফহোমে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

এই খবরে স্বস্তি ফিরেছে উপকূলের ট্রলার মালিকসহ জেলেদের। 

এদিকে যেসব দস্যু সাগর উপকূল দাবড়ে বেড়াত তারাই আইশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সরকারের কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। 

গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে পেকুয়ার সরওয়ার বাহিনীর প্রধান সরওয়ার, সেকেন্ড ইন কমান্ড গিয়াস উদ্দিন এবং শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ২টার সময় মহেশখালীর ঝাপুয়া এলাকার নাজেম উদ্দিন নাজুকে অস্ত্রসহ আস্তানা থেকে বের করে প্রায় ৫০ জনের মত জলদস্যুরা আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে সেফহোমে নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে কয়েকটি গ্রুপের পৃথক জলদস্যু বাহিনীর প্রধান, সদস্যরা, দাগী পলাতক আসামিরা আত্মসমর্পণ করতে মধ্যস্থতাকারীর নিয়ন্ত্রণে সেভহোমে চলে এসেছে। এসব বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করলে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসাবে পরিচিত মহেশখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এসব বিষয়ে সাহসের সঙ্গে এখন মুখ খুলতে চেষ্টা করছেন। সূত্র মতে, শীর্ষ জলদস্যুরা অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, ধারালো ভয়ঙ্কর অস্ত্র, তৈরির সরঞ্জামসহ আনুষ্ঠানিকভাবে  আত্মসমর্পণ করবেন।

জানা গেছে, সাগর পথের দস্যুদের আলোর পথে ফেরাতে কাজ করছেন দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ-২৪ এর সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজারের পেকুয়ার কৃতি সন্তান এম এম আকরাম হোসাইন।

তিনি জানান, পেকুয়ার সরওয়ার বাহিনীর প্রধান সরওয়ার এবং সেকেন্ড ইন কমান্ড গিয়াস উদ্দিন এখন সেফহোমে। 

তাদের দুইজনেরই হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতাসহ ১০টির অধিক মামলা আছে বলে জানা যায়। মহেশখালীর ঝাপুয়া এলাকার নাজেম উদ্দিনও নাজু এখন সেফহোমে।

এম এম আকরাম হোসাইন জানান, বেশ কিছুদিন আগে থেকে জলদস্যুদের সেফহোমে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রায় শেষের পথে আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়া। এটিই হবে শেষ আত্মসমর্পণ। এরপর আর আত্মসমর্পণের সুযোগ থাকবে না। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, চলমান আত্মসমর্পণের সহায়তা করছে র‍্যাব হেডকোয়ার্টার। এই প্রক্রিয়ায় আত্মসমর্পণ না করলে সন্ত্রাসী, দস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে সরকার।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে মহেশখালীতে র‍্যাবের হাতে ৩৬ জন, ২০১৯ সালে পুলিশের হাতে ৯৬ জন এবং ২০২০ সালে ৩৪ জন জলদস্যু র‍্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করে। উক্ত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের আইজিপি ও র‍্যাবের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন। 

যার পুরোটাই মধ্যস্ততা করেন সাংবাদিক এম এম আকরাম হোসাইন আর সহযোগিতা করেন সাংবাদিক মোহাম্মদ হোবাইব।

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.