খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নের কাঞ্চননগর হইতে বাইলারা গেট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার রাস্তার সিরিজ গাছ, বাবলা গাছ, নিম গাছ, তেঁতুল গাছ, আকাশমনি গাছসহ ২শ গাছ কেটে নিয়ে গেছে কতিপয় ব্যক্তি।
জানা গেছে, বিগত ২৫ বছর যাবত ৮৬ জন সুভিধাভোগি সদস্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭নাম্বার পোল্ডার কাঞ্চননগর থেকে বাইলারা গেট পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার ওয়াপদার রাস্তার ২পাশ দিয়ে সারি বদ্ধ ভাবে আনুষ্ঠানিক এক লক্ষ ফলজ, বনজসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগান।
সম্প্রতিকালে ওই গাছ সুবিধাভোগীদের না জানিয়ে গাছগুলি অবৈধভাবে কেটে নিচ্ছেন স্থানীয় মকবুল শেখ, নিউটন মিস্ত্রি, সোলেমান, হাসিনা বেগম,সহ অনেকেই।
অবৈধভাবে এ গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল আমিন নিকট সুবিধাভোগির সদস্য হোসেন আলী মৌখিক ভাবে অভিযোগ দাখিল করলে তিনি বলেন, এই ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের সকালে মিটিং হয়েছে। আপনারা বন বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তা খান লিয়াকত আলীর কাছে অভিযোগ দেন ।
বন বিভাগের উপজেলা কর্মকর্তা খান লিয়াকত আলী প্রতিবেদককে বলেন, এই গাছ কাটার সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা। তবে আমি এক্ষুনি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে সমিতির থাকলেও কারোর কাটার ক্ষমতা নেই। আমি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে লোকও পাঠিয়েছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এস ও আবুল হাসনাত এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের বিষয় নয় ,এটা বন বিভাগের বিষয়।
এ ব্যাপারে কাঞ্চন নগর বালাইরা গেটের ১৭ নাম্বার পোল্ডারের সুবিধা ভোগির সদস্য হোসেন আলী জানান, বন বিভাগের কর্মচারীদের সহযোগীতায় আনুষ্ঠানিক ২শত বিভিন্ন জাতের গাছ চুরি করে বিক্রিয় করেছেন।
উল্লেখ্য যদি অতি সত্বর চুরি করা গাছ বিক্রয় বন্ধ না করা হয় তা হইলে সরকারি গাছ সাবার করে দিবেন বলে এলাকার সচেতনমহল ও ভুক্তভুগিরা মনে করেন।