× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

ঈশ্বরদীতে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

সৌরভ কুমার দেবনাথ, ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

০৮ মে ২০২৪, ১৬:২০ পিএম

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম (৫৮) কর্তৃক একাধিক মেয়েকে সরাসরি ও মোবাইলে কু প্রস্তাব দেওয়ায় থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ। সোচ্চার হয়ে উঠে ভুক্তভোগী মেয়েদের পরিবারগুলো। 

অনুসন্ধানি সংবাদ দৈনিক সংবাদ সারাবেলাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানের দৃষ্টিগোচর হলে তদন্ত কমিটি প্রেরণ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা ভুক্তভোগী মেয়ে, অভিভাবক, থানার ওসি ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরতদের বক্তব্য গ্রহণ করেন। সকলের বক্তব্যে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

বুধবার দুপুরে ডিজি কার্যালয় থেকে আসা তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. হামিদুর রহমান, উপ-পরিচালক পাবনার স্বপন কুমার কর্মকার, ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের কর্মরতগণ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহমেদ একাধিক মেয়েকে সরাসরি ও মোবাইল ফোনে তার বাসার গিয়ে সময় কাটানোসহ কুপ্রস্তাব দেন। যার একাধিক অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে উপজেলা প্রশাসন। পাবনা জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে (উপ-পরিচালক)  অনুরোধ জানিয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ।

ওই মেয়েদের মধ্যে গত ২৪ মার্চ/২৪ উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের বাঘইল কলেরখাদ এলাকার এক মেয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহমেদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

যুব উন্নয়ন ঈশ্বরদী কার্যালয়ের একাধিক সুত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি/২০১১ সালে মোরশেদ আহমেদ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসেবে ঈশ্বরদীতে যোগদান করেন। এরপর থেকেই কার্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে ঢাকাতে চাকরী বাণিজ্যে ব্যস্ত থাকা, মাসে দুই এক বার এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, প্রশিক্ষণভাতা, ঋণের টাকা আত্মসাত, অফিস কর্মচারীদের সঙ্গে শালিন আচরণ, প্রশিক্ষণ নিতে আসা মেয়েদের বাড়িতে যাওয়া, সখ্যতা গড়ে তোলা, কুপ্রস্তাব দেওয়াসহ নানা রকম অভিযোগে বেশ কয়েক দফা অধিদপ্তর থেকে তদন্তও এসেছিল। তদন্তে সব অভিযোগ প্রমানিত হলেও অজ্ঞাত কারণে তার বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি অধিদপ্তর। আর এসব কারণেই বারবার মেয়েদের সঙ্গে এত নোংরামি করে যাচ্ছেন এই কর্মকর্তা।

পাবনা জেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে (উপ-পরিচালক) স্বপন কুমার কর্মকার জানান, অধিদপ্তর থেকে তদন্ত কর্মকর্তা গত ১৬ এপ্রিল তদন্ত করে গেছেন। সেখানে অভিযোগকারী মেয়ে, তার ভাই, থানার ওসি ও যুব উন্নয়ন কার্যালয়ের স্টাফদের আলদা আলাদাভাবে জবানবন্দি নিয়েছেন। এখন অধিদপ্তর কি পদক্ষেপ নিবেন সেটা বলা মুশকিল।

কার্যালয় থেকে আসা তদন্ত কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. হামিদুর রহমান মুঠোফোনে জানান, তদন্ত প্রতিবেদন প্রায় প্রস্তুত করা হয়ে গেছে। তদন্তের বিষয়টি এখনই জানানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহমেদ অবশ্যয় বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আসবে। আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন ডিজি বরাবর প্রেরণ করা হবে। 

ঈশ্বরদী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহমেদ জানান, থানায় অভিযোগ দায়েরকারী ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে বসা হয়েছিল। ওই মেয়েটি অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। এই বিষয়ে লেখালেখি করার দরকার নেই।

যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (ডিজি) ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান জানান, এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন দেখে পরবর্তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.