ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে শেরপুরের শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতীতে কোন প্রকার গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ওই ভোট উৎসবে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বেলা বাড়ার পরও উপস্থিতি আশানুরূপ বাড়েনি।
উভয় উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ৩০-৩৫ ভাগ। উভয় এলাকায় কৃষকের পুরোদমে ধান কাটা ও মারাই কাজে এলাকার শ্রমিক ও কৃষকরা ব্যস্ত থাকায় ভোটার উপস্থিতি আশানুরুপ হয়নি। অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে কোন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীও অভিযোগ তুলেননি।
এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকাল থেকেই শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলাজুড়ে মাঠ চষে বেরিয়েছেন শেরপুরের জেলা প্রসাশক আব্দুল আল খায়রুম, নবাগত পুলিশ সুপার মো: আকরামুল হোসেন পিপিএম এবং জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হকসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এছাড়া উভয় উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক ( অতিরিক্ত ডিআইজি) মুহিবুল ইসলাম খান।
বিকেল ৪টায় ভোট গ্রহন শেষে জেলা প্রসাশক আব্দুল আল খায়রুম ও পুলিশ সুপার মো: আকরামুল হোসেন জানান, কোথাও কোন প্রকার গোলযোগ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ লক্ষ্যেই আমরা সর্বাত্মক প্র¯‘তি নিয়ে কাজ করেছি। আশা করি আমরা সেটা করতে পেরেছি।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলায় ভোট পড়েছে ১২ শতাংশ এবং ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভোট পড়েছে ১৯ শতাংশ। এদিকে নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাবের ৪টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি, ১টিম ব্যাটালিয়ান আনসার, ১৯৭৯ জন আনসার ভিডিপি, ৪২৩ জন পুলিশ, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিলেন।
উল্লেখ্য, শ্রীবরদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী এবং ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।