রানওয়েতে আলো স্বল্পতার কারণে ৬ ঘণ্টা ধরে বিমান ওঠানামা বন্ধ রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। এতে বিমানবন্দরে ঢাকাগামী তিনটি ফ্লাইটের দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে শিডিউল বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুইশত ঢাকাগামী যাত্রী। রাত ১২টা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রানওয়ের বাতি ঠিক করা সম্ভব হয়নি।
রোববার (১২মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বিমান ওঠানামা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সূত্র জানায়, রানওয়েতে বিমানবন্দর উন্নয়নের কাজ চলছিল। এ অবস্থায় কোথাও বৈদ্যুতিক সংযোগ কাটা পড়ায় রানওয়ের বাতিগুলো জ্বলছে না। বিমানবন্দরের প্রকৌশল বিভাগ বিষয়টি জানার পর ত্রুটি খুঁজে দেখছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাইট ল্যান্ডিং সিস্টেম কাজ না করায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভো এয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি করে বিমান যাত্রীসেবা দিতে পারেনি। ফলে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে দুই শতাধিক যাত্রী আটকা পড়েন। রাতের সব ফ্লাইট বাতিল হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক যাত্রী বলেন, আমাদের ফ্লাইটের সময় ছিল রাত ৭টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু এখন ৯টার বেশি বাজে। এর মধ্যে কিছুক্ষণ আমাদের ভেতরে বসিয়ে রাখা হলো।
এখন এতো রাতে আমি যে হোটেলে উঠবো, এই হয়রানির দায় কে নেবে?
ওই ফ্লাইটের অপর এক যাত্রী বলেন, আমাদের প্রথমে ওয়েট করিয়েছিল। বিমানবন্দর প্রকৌশল বিভাগ বিষয়টি জানার পর ত্রুটি খুঁজে দেখার চেষ্টা করছে, কিন্তু লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে এয়ারপোর্টে বসে আছি। রানওয়ের লাইটিং এর শর্টসার্কিটজনিত কারনে এমর ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। এরই মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ২০ মিনিট সময় চেয়েছিল। এই ফ্লাইটের অনেকেই আবার কানেক্টিং ফ্লাইট ধরবেন। এই বিড়ম্বনার দায়ভার কে নেবে?
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, সন্ধ্যার পর রানওয়ের নাইট ল্যান্ডিং সিস্টেম কাজ না করায় বিমান চলাচল বন্ধ রাখা রয়েছে। এরই মধ্যে বাতিল হয়েছে তিনটি ফ্লাইট। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট। বিমান চলাচল স্বাভাবিক করতে প্রকৌশল বিভাগ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ফ্লাইট চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।