কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষিত তপসিল অনুযায়ী আগামী (২১ মে সোমবার) ভোট গ্রহণের তারিখ। প্রার্থীদের সরগরম প্রচারণা থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেইভাবে ভোটের উত্তাপ এখনো দেখা যায়নি। নারী ভোটার বেশি থাকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ভোটারদের কাছে টানা৷
এবারের ভোটে নতুন প্রার্থীদের জয়জয়কার। ভোট নিয়ে যেমন নেই উত্তাপ, তেমনি কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেটি এখন পর্যন্ত৷ সব প্রার্থীর একটাই লক্ষ্য, ভোটারদের কেন্দ্রমুখি করা৷ ভোট নিয়ে প্রার্থীর নিজেদের কর্মী, সমর্থক ছাড়া কারো মধ্যে এ নিয়ে তেমন কোন আলোচনা হতে দেখা যায়নি।
জানা যায়,নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন চেয়ারম্যান ৬, ভাইস চেয়ারম্যান ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন। মোট ১৭ জন প্রার্থী মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন।
এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মরহুম আসাদুজ্জামানের ছেলে মঈনুজ্জামান অপু (ঘোড়া) সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর (দোয়াত কলম) জেলা পরিষদের সদস্য মো. কামরুজ্জামান (কাপ পিরিস) মো. নজরুল ইসলাম (আনারস), সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অব. আখতারুজ্জামান রঞ্জনের ছেলে মো. সাব্বির জামান রনি( কই মাছ) ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ দিলদার ( মোটরসাইকেল)৷
এর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য (বিএনপির বহিষ্কৃত) মেজর অব. আখতারুজ্জামান রঞ্জনের ছেলে মো. সাব্বির জামান রনি ও মো. নজরুল ইসলাম ছাড়া বাকি সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত৷
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মরহুম আসাদুজ্জামানের ছেলে মঈনুজ্জামান অতীতে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন৷ বাকিরা সবাই এবারই নতুন প্রার্থী হয়েছেন।
ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউর করিম শিকদার (তালা) , আবু নাঈম ( টিয়া পাখি) বদরুল আলম নাঈম (চশমা), মোঃ মাহমুদুল হাসান (মাইক) সাদেক হোসেন খোকা, মো. চাঁন মিয়া ও মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম প্রার্থী হয়েছেন।
মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রোকসানা, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাথী বেগম, মোছা. লুৎফা আক্তার ও নূর জাহান আক্তার নির্বাচন করছেন৷
কটিয়াদী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১,৮৬ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯.১১৪ জন। মহিলা ভোটার ১,৬৩,৫১২ জন।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হবে। আচরণবিধি বিষয়েও সজাগ কমিশন৷ কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।