আশুলিয়ার গেরুয়ায় জামসিং এলাকায় চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দু'পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বাদী মো. হানিফ ও বিবাদী মো. মধু মিয়া এর মধ্যে জমিজমা ও রাস্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতি ও মারামারিতে লিপ্ত হয়।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে মো. হানিফ (৫০) পিতা আবুল কাশেম, মাতা জাহিদা খাতুন, সাং গেরুয়া, থানা আশুলিয়া জেলা ঢাকা, থানায় তিনি হাজির হয়ে উক্ত ঘটনায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।পরবর্তীতে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মো. আয়নাল হোসেন ও মো. জয়নাল- পিতা মো. মধু মিয়া, মাতা রেহেনা বেগম, গ্রাম গেরুয়া, থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকা এবং মো. মধু মিয়া- পিতা মৃত আব্দুল মুন্নাফ, মাতা মৃত সুরুজ ভানু, মোছা খুশি আক্তার- পিতা মো. মধু মিয়া, মাতা রেহেনা বেগম, মো. নাসিরউদ্দিন- পিতা মৃত গনি,মাতা মোছা আয়েশা বেগম স্হায়ী, গ্রাম গেরুয়া, থানা আশুলিয়া, জেলা ঢাকাসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামী করে ১২/০৫/২০২৪ ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বিকেলে এই মামলার আসামী মো. মধু মিয়া ও তার ছেলে জয়নাল কে গ্রেফতার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ। আসামীদেরকে আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মো. হানিফ ও মধু মিয়ার মধ্যে বাড়ির যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ চলে আসতেছিল। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যেকার বিরোধ স্থানীয়রা মিমাংসা করার চেষ্টা করে আসতেছিল এবং দুই পক্ষকে শান্ত থাকার কথা বললেও গত বুধবার দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির একপর্যায়ে আসামী আয়নাল হোসেন তার হাতে থাকা রড দিয়ে বাদীর ছেলে সাব্বির হোসেন (১৯) কে সজোরে আঘাত করে। আঘাতে তার মাথা জখম হয়ে রক্তাক্ত হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
উক্ত ঘটনা সম্বন্ধে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি পাথালিয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ রনির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হওয়ার পর আমার কাছে আসছিল এবং আমি তাদেরকে শান্ত থাকতে বলি। বিষয়টি আমি মীমাংসা করে দিবো বলেও বলেন তিনি। কিন্তু একপক্ষ থানায় মামলা করেছে জানান তিনি।
এ বিষয়ে মামলার আয়ু আশুলিয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর নিরস্ত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,মামলা হয়েছে আসামীদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।