নীলফামারীর ডিমলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর (১৫) আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার বাবুরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ডিমলা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা।
গ্রেফতাররা হলো উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট এলাকার বাসিন্দা রোস্তম আলীর ছেলে আদিল শাহরিয়ার (১৭) ও তার বন্ধু সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সোবহানের ছেলে সাইদুজ্জামান সৈকত (১৭)। মামলার অপর আসামি প্রমিত (১৭) পলাতক। সে বাবুরহাট বাজারের মন্দিরপাড়ার বাসিন্দা কৈলাশের ছেলে।
থানা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১১ মে) বিকেলে ওই শিক্ষার্থী উপজেলার বাবুরহাট বাজারের মেডিকেল মোড় এলাকায় প্রাইভেট পড়তে যায়। এ সময় অভিযুক্তরা ওই শিক্ষার্থীকে পাশের একটি স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যায়। সেখানে আদিল ও তার বন্ধু প্রমিত শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে।
পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে প্রমিতের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে আদিল ও প্রমিত ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে বললে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
এদিকে বাড়ি ফিরে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী মা-বাবার কাছে ঘটনাটি খুলে বলে।
পরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে তিন জনের নাম উল্লেখ করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, অভিযোগ হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে সোমবার সকালে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হবে।
মামলার অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে জানান তিনি।