বাগেরহাটের মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরন্ময় সরকার হিরনের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক নারী। ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে তিনি এই লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এ ঘটনায় হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
রোববার (১২ মে) তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগে যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার পাগলাদহ এলাকার ওই নারী বলেন, পাঁচ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) কর্মরত ছিলেন। হিরন্ময় সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলে পরিচয় দিতেন। গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের সম্পর্কের কিছুদিন পর তিনি গর্ভধারণ করেন। এ সময় নানান অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় সরকার তার গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট করেন। এরপর ওই নারীর সঙ্গে তার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলায় আবাসিক হোটেল টাইগারে অবস্থান করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে মোংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোংলা সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারকে অবহিত করেন। শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী গতকাল রোববার (১২ মে) মোংলা থেকে নিজ জেলা যশোরে ফিরে যান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) হিরন্ময় সরকার বলেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী শুধু বন্ধু ছিল।
প্রেম কিংবা বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন তিনি।
বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল হাসনাত খাঁন বলেন, হিরন্ময় সরকারকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে তার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে প্রমাণিত হলে হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।