শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরের ডিএমখালী কালাই সরকার কান্দি এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে এমন অভিযোগে ১৭ জনকে আসামি করে (গত ২২/৪/২০২৪) শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন ওই নাড়ীর খালা শাশুড়ি ফাহিমা ইসলাম। তবে এই মামলাটি মিথ্যা বলে দাবি করছেন আসামি পক্ষ।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ সরদার ও এবাদুল্লাহ সরদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ২২/৪/২০২৪ সোমবার সকালে জমিতে হাল চাস করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে যায়। এসময় দুপক্ষের লোকজন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ফাহিমা ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে তাদের সাথে আমাদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ। ওইদিন সকালে এবাদুল্লাহ সরদার তাদের লোকজন নিয়ে আমার ভাই, বোন সহ অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর ওপর হামলা চালায় এতে আমার পুত্রবধূর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। আমি মামলা করেছি ন্যায় বিচারক পাবো।
এ বিষয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধর মামলায় আসামি হওয়া মাহন সরদার বলেন, আমাদের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফিরোজ সরদারের সাথে বিরোধ। এবিষয়ে একাধিক ইউনিয়ন পরিষদে দরবার হয়েছে। কিন্তু ফিরোজ সরদার মিমাংসা না গিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে যে-ই অন্তঃসত্ত্বা নারীর বাচ্চা নষ্ট হয়েছে বলে মামলা করেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। মারামারির সময় ওই মহিলা উপস্থিত ছিলো না। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে থানা ও আদালতে দু'পক্ষের মামলাই চলমান। আমরা একজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছি। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। বাচ্চা নষ্টের বিষয়টি তদন্ত করে বলা যাবে।