লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুরের নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাছে অনেকটাই জিম্মি হয়ে পড়েছে প্রবাসী, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও দিনমজুরসহ পাঁচটি পরিবার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে পড়ার মান উন্নয়নের দিকে নজর না দিয়ে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, অন্যের জমি দখল, পুকুর ইজারা, মাটি বিক্রয়সহ নানামুখী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলছে, জমি দখলের প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের বাহিরে ব্যক্তি মালিকানাধীন বাড়ির পাশে বাগান থেকে কাঁঠাল পাড়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সড়ক থেকে শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যায়।
নন্দীগ্রাম বদরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আমির হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের জমি জোর করে স্থানীয় কয়েকজন দখল করতে চান। এনিয়ে একাধিক সালিশ হলেও তা সমাধান হয়নি। রাতের বেলায় কিংবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে দখলবাজরা প্রতিষ্ঠানটির সম্পত্তি নিজের আয়ত্তে নিতে চায়। প্রতিষ্ঠানের ফল লুটে বাধা দেয়ায় শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।
সভাপতির এমন বক্তব্য যাচাই করতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর থেকে অনেক দূরে নাগের বাড়ির মনোয়ার ও লিটন তাদেও বসতঘরের চারপাশে সীমান প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এতে বাধে বিপত্তি, তাদেও দাবি, তাদেও কাজে সভাপতি চাঁদা দাবি করেছে, না দেয়ায় প্রতিষ্ঠানকে সামনে এনে প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে তাদের করা হয় হয়রানি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিষ্টানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে বহু বছর আগেই। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার দিকে নজর না দিয়ে কমিটি ও শিক্ষকরা মিলে সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় নাগের বাড়ির বাসিন্দাদের সাথে বিরোধ করছে অনেকদিন ধরে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্টরা মাটি বিক্রি, পুকুর ইজারাসহ নানামুখী ব্যবসায় জড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই বাছাই করারও দাবি করেন তারা।
প্রধান শিক্ষক মো. বেলাল হোসাইন জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি জোর করে কয়েকজন দখল করার চেষ্টা করছে।
বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান জানান, নাগের বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির সাথে বিরোধ চলছে। কাগজপত্র ও দালিলাকি প্রমাণ দেখা সাপেক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।