রাত পেরোলেই ভোট। ভোটারদের মধ্যে আমেজ বিরাজ করলেও শেষ সময়ে দেখা দিয়েছে ক্ষোভের বহির্প্রকাশ। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই মোটরসাইকেলের প্রতীক আলতাফ মাষ্টার ও তার অনুসারীরা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছে। আর সাধারণ ভোটারদের দিচ্ছেন নানা হুমকি। এতে করে চরাঞ্চলের ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম আতঙ্ক।
রায়ুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন। এর মধ্যে বিগত ৫ বছর রায়পুর উপজেলাবাসীকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলমুক্ত উন্নয়ন ও সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ। উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় রাস্তা, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং হয়রানিমুক্ত নিরলস সেবা দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি।
উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে আলাপকালে তারা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশীদ জেলেদের জীবিকা নির্বাহে সহযোগিতা করেছেন সবসময়। জেলে পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে তিনি তাদের বাসস্থান, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এ কারণে এমন সৎ ও নির্লোভ মানুষকেই তারা আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
বিগত করোনার সময়ে অধ্যক্ষ মামুন উপজেলার মানুষের নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের দারপ্রান্তে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। কারো কোন বিপদের সংবাদ পেলে তাদের কাছে ছুঁটে চলে আসেন। এজন্য দলমত নির্বিশেষে আগামীকাল আনারস প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার দাবি করেন স্থানীয়রা।
এদিকে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী একসময় চরাঞ্চলের বিস্তৃর্ণ ভূমি দখলবাজদের সাথে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে একই কায়দায় তার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী ভাইকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বনে যান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গেলো নির্বাচনে জনগণ তাকে প্রত্যক্ষাণ করলে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। পরে তার অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন বেফাঁস বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ শুরু করে।
তবে আগামীকাল ভোটাররা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।