কক্মবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কৈতরের দিয়া নামক এলাকায় প্যারাবনের ছোট ছোট বাইন গাছ ধ্বংস করে চিংড়ি প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রভাবশালীরা একাট্টা হওয়ায় সরকারী জায়গায় মৎস্য প্রকল্প নিমার্ণ কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না।
গত এক সপ্তাহে ধরে ওই এলাকায় প্যারাবনের প্রায় কয়েক শত একর জায়গা দখল করে খননযন্ত্র স্কেভেটর দিয়ে চিংড়িঘেরের জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে বিরতিহীনভাবে। নস্ট করা হয়েছে প্যারাবনের অন্তত কয়েক লাখ বাইনগাছের চারা।
উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের কৈতরের দিয়া প্যারাবন দখল করে চিংড়িঘের তৈরির হিড়িক পড়েছে। লবণ মাঠের জন্য প্যারাবন দখলকে কেন্দ্র করে ঘটিভাঙায় গত ২ মার্চ দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এরপরও প্যারাবন দখল থেমে নেই।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্র জানায়, গোরকঘাটা পৌর সভা এলাকার খোকন সিকদার, কুতুবজোমের মাসুদ,আমির হোসেন ও দুদু মেম্বারের নেতৃত্বে জোট বেঁধে প্যারাবন দখল করা হচ্ছে। শতাধিক শ্রমিক নিয়ে দিনদুপুরে তাঁরা প্যারাবন কেটে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ শুরু করেছেন।
পরিবেশবাদী সংগঠন দরিত্রী রক্ষায় আমরা ধরা মহেশখালীর আহবায়ক মৌলভী ইউনুচ জানান, চিংড়িঘের ও লবণ মাঠের জন্য প্যারাবন ধ্বংসের বিষয়টি বন বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করা হলেও প্রতিকার মিলছে না।
গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী বলেন, খোঁজ-খবর নিয়ে অভিযান চালানো হবে।