পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের অবহেলায় নাসির শরীফ (৬৮) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৪ মে) সকাল ৮টায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
মৃত ওই ব্যক্তি উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের দরগাবাড়ি সংলগ্ন মৃত আলাস শরীফের ছেলে।
মৃত নাসির শরীফের চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার ভাই বুধবার বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুর রউফের অধীনে ভর্তি করে তার শরীরে এক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। এরপর রোগী কিছুটা সুস্থ হন। পরের দিন বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে ডাঃ ফাতেমা বেগম পরিদর্শনে এসে জানান রোগী সুস্থ আছেন। ওই দিন রাত দেড়টার দিকে হঠাৎ রোগীর শ্বাস কষ্ট শুরু হলে তার ছেলের স্ত্রী তানিয়া বেগম ডিউটি নার্সদের বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। একপর্যায়ে রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটলে তানিয়া পুনায় ডিউটি নার্সদের জানালে তাদের মধ্যে একজন নার্স ডিউটি ডাক্তার তাসরিফকে ফোন করেন। কিন্তু ডিক্তার ফোন রিসিভ করেননি।
জানা গেছে ওই সময় ডিউটি ডাক্তার তাসরিফ তার বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। পরে সারা রাত চিকিৎসা না পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে ওই রোগী মারা যান।
এ ব্যাপারে আবাসিক চিকিৎসক (অরএমও) আব্দুর রব বলেন, বুধবার নাসির শরীফ নামের এক বৃদ্ধ শ্বাস কষ্ট নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। তার শরীরে রক্ত ছিল ৭পয়েন্ট। তাকে ওই দিন রক্ত দেয়া হয়। এরপর থেকে রোগীর স্বাস্থ্যের উন্নতি হচ্ছিল । বৃহস্পতিবারও তার অবস্থা ভালো ছিল। ওই দিন রাত ১২টায় ডা. ফাতেমা বেগম ওই রোগী দেখে আমাকে জানান রোগী ভালো আছে। শুক্রবার সকালে শুনলাম ওই দিন রাত দেড়টা-দুইটার দিকে নাকি রোগীর শ্বাস কষ্ট বেড়ে যায়। ডিউটি নার্স ডিউটি ডাক্তার তাসরিফকে ফোন দিয়ে পাননি এটা দুঃখজনক।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, জরুরি বিভাগের ডাক্তার ফোন না ধরে অপরাধ করেছেন। রোগীর স্বজনেরা আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।