সিলেটে প্রতিদিনই ভাঙছে তাপপ্রবাহের রেকর্ড। শুক্রবার সিলেটে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। তবে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভেঙেছে সেই রেকর্ড। আর এই তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে নেমে এসেছে অস্বস্তি। গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
শনিবার (২৫ মে) বিকাল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র তাপপ্রবাহরে কারণে নগরে লোক সমাগম অনেকটা কম। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হননি। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে রাস্তায় যান চলাচলও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম দেখা গেছে, এতে বিপাকে পড়েছেন কাজে বের হওয়া অনেকে।
রিকশাচালক রফিক বলেন, কয়েকদিন থেকে অনেক গরম সহ্য করার মতো নয়। একটা বারের জন্য শরীরের ঘাম মুছতে পারি না। একটু পর পর রাস্তার পাশে বিশ্রাম নিয়ে রিকশা চালাচ্ছি। গরমের জন্য যাত্রীও কম পাচ্ছি। কেউ গরমে ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।
বাজার করতে আসা সজিব পাল বলেন, বাজার করতে এসেছি, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। মনে হচ্ছে পুরো শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। কি যে অস্বস্তি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।
বাজার করতে আসা সাকিব আহমেদ বলেন, বাজার করতে এসেছিলাম দীর্ঘক্ষণ থেকে দাঁড়িয়ে আছি রাস্তায় ভ্যান-রিকশা পাচ্ছি না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা শেষ করে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু রিকশা যেতে চাচ্ছে না। এখন মনে হচ্ছে হেঁটেই বাসায় যেতে হপবে, উপায় তো নেই।
সিলেট আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসেন বলেন, শনিবার বেলা তিনটায় সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা থাকতে পারে। দেশে সাধারণত মার্চ, এপ্রিল, মে ও জুনে গরম বেশি থাকে। আগামী কয়েক দিন এ রকম গরম থাকতে পারে। তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে বলে জানান তিনি।