ঘূর্ণিঝড় রেমাল থেকে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। বিকাপে পড়েছেন স্কুলগামী শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ শ্রমজীবীরা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। বর্তমানে বৃষ্টি বন্ধ থাকলেও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সূত্রমতে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল নিম্নচাপ হয়ে বর্তমানে সিলেট অঞ্চলে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪৯ দশমিক ২ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ৩০০ থেকে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে ১০০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। আগামীকাল থেকে সিলেট বিভাগের নদ-নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল নামার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছেন। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানির সমতল আরোও বৃষ্টি পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারণে বেশি বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টির কারণে ছাতা নিয়ে রাস্তায় বের হলেও দমকা হাওয়ার কারণে ছাতা উলটে যাচ্ছিলো। বৃষ্টির কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যান চলাচলও কম দেখা গেছে। ফলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে দেখা যায় রাস্তায় বের হওয়া লোকজনদের।
কলেজ শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান বলেন, সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে এর মধ্যে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম। এখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছি কিন্তু কেউ যেতে চাচ্ছেনা।
বেরসকারি চাকরিজীবী ইমরান আহমদ বলেন, তীব্র গরমের পর বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এসেছে। তবে এখন বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছি। কর্মস্থলে যাব কিন্তু বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশা কিছুই পাইনি ফলে ছাতা নিয়ে হেঁটেই যাচ্ছি।
স্কুল শিক্ষার্থী তাবাসসুম মিথিলা বলেন, সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে তাই ছাতা নিয়ে বের হলাম। কিন্তু দমকা হাওয়ার কারণে ছাতা বার বার উলটে যাচ্ছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন বলেন, নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে সিলেট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান
করছে। এটি আরও উত্তরপূর্বদিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টি হয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে সিলেটের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।