শ্রীনগরে প্রেমে প্রতারিত হয়ে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তরিঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি দাফন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের সেলামতি কারিকর পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। সাদিয়া সরকারী শ্রীনগর কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সেলামতি গ্রামের মফজেল দেওয়ানের মেয়ে সাদিয়ার (২০) সাথে একই গ্রামের আ. গফুরের ছেলে ইমনের (২৩) প্রায় ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত কয়েকদিন ধরে সাদিয়া বিয়ের জন্য চাপাচাপি শুরু করলে ইমন বেকে বসে। এতে সাদিয়া হতাশায় ভেঙ্গে পরে। শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সাদিয়া মোবাইল ফোনে প্রেমিক ইমনের বাবার সাথে কথা বলে। এর পরই সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেমের কারণে অত্মহত্যা করায় ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় একটি টাউটচক্র তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনে মরিয়া হয়ে উঠে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে সাদিয়ার পরিবার পুলিশকে না জানিয়ে রাত ১০টার দিকে লাশ দাফন করে। সাদিয়ার বাবা মফজেল দেওয়ান বলেন, জানাজায় স্থানীয় মিঠু মেম্বার ও শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেনসহ অনেকেই অংশ নিয়েছেন।
সাদিয়ার বোন রাত্রি জানান, ইমনের সাথে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ইমনকে বিয়ের কথা বললে সে সাদিয়াকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গতকাল ইমনের বাবাকে ফোন করা হলে সেও সাদিয়াকে বকাঝকা করে।
সাদিয়ার চাচাতো ভাই বিল্লাল দেওয়ান বলেন, সাদিয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার স্ত্রী সাথী বেগম জানিয়েছেন সাদিয়ার গলায় ফাঁসির দাগ রয়েছে।
সাদিয়ার প্রেমিক ইমনের বাবা আ. গফুর বলেন, সাদিয়া তাকে কল করেছিল সত্য। তবে ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তা আমি জানতাম না। শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, তিনি জানাজায় অংশ নিয়েছেন। মেয়েটি অসুস্থ ছিল বলে শুনেছেন, তবে অত্মহত্যা করেছে বলে তার জানা নেই।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, এই ব্যাপারে কেউ থানাকে অবহিত করেনি।