× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সিলেটে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মাহমুদ খান, সিলেট ব্যুরো

২৯ মে ২০২৪, ১৫:৪৫ পিএম

ছবি : প্রতিনিধি

ঘূর্ণিঝড় ‌‘রেমাল’ এর প্রভাবে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্ট, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্ট, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিশ্বনাথের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। রাতে কিছুটা কমলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকার কারণে পানি বেড়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জানান, বুধবার দুপুর ১২ টায় সুরমা নদীর কাইনাইঘাট পয়েন্টে ১৩ দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার ওপরে। এছাড়া সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে ৯ দশমিক ৪৯ মিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ওই পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১২ দশমিক ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তাছাড়া পিয়াইন, ধলাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই।

তিনি জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেটে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে স্বল্প মেয়াদি বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজীব হোসাইন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৪৩ দশমিক ১ মিলি মিটার। সিলেটের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।তিনি জানান, সিলেট ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে আসাম ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। 

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ফ্ল্যাশ বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বৃষ্টি থাকার কারণে পানি বেড়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে।

টিলা ধসের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নসহ কিছু জায়গায় টিলা ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানের ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে অনেকে তা মানছেন না, আমাদের কাছে যেগুলো খবর আসে সেগুলোর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। এছাড়া ইউনিয়ন ভিত্তিক জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে যেন তারা নিরাপদে আশ্রয় নেয়।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনজিত কুমার চন্দ বলেন, নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, অতিবৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ- নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে আমরা তা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.