ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পাওয়ায় তারা জামানত হারান।
গতবুধবার ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নির্বাচনে দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২ লাখ ৩৯ হাজার ১২২ জন ভোটার ছিল। তাদের মধ্যে ১ লাখ ২২ হাজার ১৩৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ হিসাবে জামানত ফিরে পেতে প্রার্থীকে অন্তত ৮ হাজার ১৪২ ভোটের বেশি পেতে হত।ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ১ লাখ ১৭ হাজার ১৫৮ ভোট পেয়ে দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবির রতন চতুর্থবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চিংড়ি মাছ প্রতীকের প্রার্থী বিজন ভৌমিক পেয়েছেন ৩ হাজার ১৬৬ ভোট। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হায়দার ১ লাখ ৮ হাজার ৮২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উড়োজাহাজ প্রতীকের মোহাম্মদ ইউছুপ আলী পেয়েছেন ৯ হাজার ১৫৪ ভোট।এই হিসাবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন ভৌমিকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রাবেয়া আক্তার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা। বিধি অনুযায়ী প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।