হাত-পা মুখ বেঁধে মাছের ঘেরের বাসায় নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে মোংলা থানায়।
এ ঘটনায় বুধবার (৫ জুন) দুপুরে পাঁচজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর বোন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মোংলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম।
জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ঐ তরুণীর সাথে রানা শেখ ও রুমান ফকির নামের দুই যুবকের মোবাইলে পরিচয় হয়। পরে তারা মোংলা সরকারী কলেজের সামনে দেখা করে। সোমবার রাতে তারা মোটরসাইকেলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে উপজেলার বাঁশতলা এলাকার একটি মাছের ঘের নিয়ে তাকে চোখ মুখ বেধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। অচেতন হয়ে পড়লে মুখ হাত পা বাঁধা অবস্থায় রাত তিনটার দিকে চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রীজের পাশে ফেলে দিয়ে যায়। এ পথ দিয়ে যাওয়া হুমায়ুন নামের এক মোটর সাইকেল চালক তাকে দেখে হাত পা চোখ মুখ খুলে দিলে জ্ঞান ফেরার পর তার বোনকে মোবাইলে খবর দিলে সে এসে বোনকে নিয়ে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে ভুক্তভোগীর বোন বাদী হয়ে মোংলা থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলো, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের মনিরুল ফকিরের ছেলে রোমান ফকির (২৫) ওলি শেখের ছেলে রানা শেখ (২৪), বায়জিদ খানের ছেলের সুমন খান (২৯), বাশার মোসাল্লির ছেলে মিজানুর মোসাল্লী (৩৬) এবং চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া পঙ্গুর মোড় এলাকার মৃত চান মিয়া শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুনীর বোন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মোংলা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় পাঁচজনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। বাকি দুজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।